লালমোহনে অসহায় পরিবারের ক্রয় কৃত জমির বসত বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট সহ দখলের অভিযোগ

ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ক্রয় কৃত সম্পত্তির বসত বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট করে অসহায় পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে।জানাজায়,উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের আমির আলী হাওলাদার বাড়ির সিদ্দিক মিয়ার দীর্ঘ ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমি গেল ৩ বছর আগে তার ভাতিজি নুরনাহার বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রহিম গং এর কাছে ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে এবং সেখানে নুরনাহার বেগম কে বসত ঘর উত্তলন করে দেন তার চাচা সিদ্দিক মিয়া।

গত(১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার)নুরনাহার বেগম তার বসত ঘরে ১৫ বছরে কন্যা রুবিনা বেগম ও বোন লিপি আক্তার(২০)সহ ফুপু বিবি আয়শা(৬০) কে ঘরে রেখে জরুরি কাজের জন্য বাহির গেলে,সিদ্দিক মিয়ার ভাতিজা খোকন পিতাঃ মফিজল,সেরাজল পিতাঃ কেরামত,দেলোয়ার,গিয়াসউদ্দিন, রাসেল, আব্দুল আলী,হাবিবুল্লাহ,তাসলিমা,পারুল,আম্বিয়া,শামছুর নাহার সহ আরও অনেকে’ই নুরনাহার বেগমের ক্রয় কৃত সম্পত্তির থেকে সম্পত্তি পাওয়ার দাবী করে নুর নাহার বেগমের বসত বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট করে জমি দখলের চেষ্টা করে দেলোয়ার গংরা।

বসত বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাটের সময় ঘরে থাকা ১৫ বছরে কন্যা রুবিনা বেগম ও বোন লিপি আক্তার তার ফুপু বিবি আয়শা বাঁধা দিতে গেলে প্রতি পক্ষের দেলোয়ার গংয়ের লোকজন ধারালো ছুরি,রট ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ঘরের সমনে থাকা ফলজ গাছ কেটে নেয়,বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে আয়শা,লিপি,রুবিনাদের কানে থাকা ৩ জোড়া কানের দুল ও গলায় থাকা ২ টা সোনার চেইন নিয়ে যায়।এ সময় রুবিনা ও আয়শা,লিপি এদেরকে গুরুতর আহত অবস্থা এলাকাবাসীরা তাদেরকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তী করেন।

এ বিষয়ে নুর নাহার বেগমের চাচা, ছিদ্দিক মিয়া বাদি হয়ে লালমোহন থানায় এজাহার ভুক্ত অভিযোগ দাখিল করেছেন।এর আগে দেলোয়ার গংরা, ভুক্তভোগী নুর নাহার বেগম ও তার স্বামী রহিম গংদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বৃত্তিহীন মামলা দায়ে করে, তাদের কে এলাকা ছাড়া করে রাতারাতি ঘর দখল করেন দেলোয়ার গংরা।এই বিষয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকছুদুর রহমান মুরাদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে,তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments (০)
Add Comment