সিলেটে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার ছাড়াল,চট্টগ্রামে শঙ্কা পাহাড় ধসের

সিলেটে ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে, যা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৌসুমের সর্বোচ্চ।এদিকে অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে আরও পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে।রোববার(১৯ জুন)সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৩০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।ভয়াবহ বন্যার মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত পরিস্থিতিকে অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।এদিকে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ইতোমধ্যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।আভাস রয়েছে আরও ধস হওয়ার।আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন,মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় সোমবার(২০ জুন)সকাল নাগাদ রংপুর,রাজশাহী,ঢাকা,ময়মনসিংহ,খুলনা,বরিশাল,চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার,যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন,বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত রংপুর,ময়মনসিংহ, ঢাকা,চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও প্রবল বজ্রপাতসহ ভারী(৪৪-৮৮ মিলিমিটার)থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার অধিক) বর্ষণ হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে-রাজশাহী,রংপুর,দিনাজপুর,পাবনা,বগুড়া,টাংগাইল,ময়মনসিংহ,বগুড়া,ঢাকা,ফরিদপুর,যশোর,কুষ্টিয়া,খুলনা, বরিশাল,পটুয়াখালী,নোয়াখালী,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ০১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment