নেয়ামত উল্লাহ রিয়াদঃ করোনা ভাইরাসের ২য় ডেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলছে।তাই করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।মহামারি করোনার কারণে ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পবিত্র রমজানের তারাবির নামাজ পড়ায় নতুন নীতিমালা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
তারাবির নামাজের জামাতে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ২০ জনের বেশি মুসল্লি একত্রিত হওয়া নিষেধ।সরকারের এ নিষেধাজ্ঞার কারণেই মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া তারাবির নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে পারেননি দেশের লাখ লাখ মুসল্লি।
মসজিদে গিয়ে তারাবির নামাজ পড়তে না পারায় বিক্ষোভ করেছেন দেশের ধমপ্রাণ মুসল্লিরা।দেশের মসজিদের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ করতে না পেরে মসজিদের সামনের রাস্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন লাখ লাখ মুসল্লি।
মুসুল্লিরা বলেন যেখানে অফিস,ব্যাংক শিল্প কলকারখানা সব কিছুতেই কোন বিধি নিষেধ নেই।
এসময় অনেক মুসুল্লি বলেন লক-ডাউন শুরুর আগের দিনেও ব্যাংক এটিএম বুথ গুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিলো কোথায় ছিলো তখন সেই বিধি নিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা??
নিষেধাজ্ঞা কি শুধু মসজিদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক মুসুল্লি বিক্ষোভ করেন।মুসুল্লিরা বলেন দেশের বর্তমানে বেশির ভাগ মসজিদ ই এখন ৪/৫ তলা হাতে গুনা গ্রামে হয়তো কিছু সংখ্যক মসজিদ আছে যেগুলো একতলা অথবা টিনের।
যেখানে ৪/৫ তলা একটা মসজিদে ২০ জনের বেশি নামাজ পড়তে পারবে এমন বিধি নিষেধ সম্পূর্ন অযৈক্তিক।তাই সাধারণ মুসুল্লিদের দাবী সরকার যেন মসজিদে তারাবি নামাজ আদায়ের জন্য স্বাস্থ্যাবিধি নিষেধ টা রেখে বাকি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন।