রাশেদুল হাসানঃ লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগন্জ থানার ১২নং চরশাহী ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সংযোগ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক খুৃঁটি স্থাপনে ও মিটার সংযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বাহিরেও আবু বক্কর ছিদ্দীক(মুন্না)কে টাকা দিতে হয়।আর এই আবু বক্কর মুন্নাকে টাকা না দিলে খুঁটি ও সংযোগ কোনটাই সহজে মিলে না বলে দাবি করেন ১২নং চরশাহী ইউনিয়নের জন সাধারণ।এই সুযোগে বিপুল পরিমাণে অর্থ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আবু বক্কর ছিদ্দীক মুন্না বিদ্যুৎ সংযোগের লোভ দেখিয়ে ও মাষ্টারপ্ল্যানে তাদের বিদ্যুৎ লাইন তালিকাভুক্ত করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছে বিভিন্ন অংকের অর্থ।যদিও সে কোন বিদ্যুৎ এর কর্মচারী নন।
পল্লী বিদ্যুৎ এর একটি খুঁটির জন্য ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ে দু মাসের মধ্যে কানেকশন দিবে বলে আজ দু বছর পর্যন্ত কানেকশন দিচ্ছে না আবু বক্কর ছিদ্দীক মুন্না।এমন অভিযোগ করে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত প্রতিনিধিকে বলেন মাষ্টার নির্মূল কান্তি।
মাষ্টার নির্মুল কান্তি আরো বলেন,পূর্ব সৈয়দপুর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশে ১৫ টি মিটার কানেকশন দিবে বলে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে আজ প্রায় পাঁচ বছর মিটিার কানেকশন দিচ্ছেনা আবু ব্বকর ছিদ্দিক মুন্না।তার এত সব রকম অনিয়মের পিছনে রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের কিছু অসৎ নেতৃবৃন্দ আর এমন তথ্য দিয়েছেন স্থানীয় জনগন।
আবু বক্কর ছিদ্দীক মুন্না অর্থ আত্নসাৎ ও অনিয়মের ব্যাপারে চন্দ্রগন্জ এরিয়া অফিসার ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম ও মিটিার টেস্টার কাজল সরকারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,অসাভাবিক অর্থ আদায়ের ব্যাপার আমরা শুনছি তবে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।তবে এইসব দালালি বন্ধের জন্য কিছু দিন ধরে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নামে কেউ কোন টাকা চাইলে না দেওয়ার জন্য এবং গ্রাহকদের সব সমস্যার বিষয়ে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে এসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে মাইকিং করে।তবুও জনগণ কে কোন দালালের কাছে না যাওয়ার অনুরোধও করেন তারা।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবু বক্কর ছিদ্দিক মুন্নার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আবু বক্কর মুন্না যাদের আশ্রয়ে এইসব কাজ করে বেড়াচ্ছে তাদের নাম সহ আরো বিস্তারিত আসছে নিউজের ২য় পর্বে।