চুংকা আমিনের ছেলে আয়ুব আলী মেম্বার লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত।চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা তার।

0 ৮৯,৯০৯

পুরাতন সন্দ্বীপ টাউনের সবার পরিচিত মুখ ও আওয়ামীলিগের পরিক্ষিত কর্মী আয়ুব আলী মেম্বার লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন সায়াহৃে উপনীত। তার পিতা মৃত আমিনুল হক প্রকাশ চুংকা আমিন।তিনি পুরাতন সন্দ্বীপ টাউনের এতিম খানা সংলগ্ন জগন্নাথ মন্দিরের পুর্ব পাশে বৃহত্তর হরিশপুর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। ওনার পিতা চুংকা আমিন সন্দ্বীপ আওয়ামীলিগের প্রথম কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে জানান অসুস্থ আয়ুব আলী মেম্বার।যার সুবাদে তিনি সারা সন্দ্বীপ ব্যাপি মাইকের পরিবর্তে ব্যবহৃত একটি প্রচার মাধ্যম যাকে চুংকা বলা হতো, সেটি দিয়ে সন্দ্বীপের সকল হাট বাজারে গিয়ে আওয়ামীলিগের প্রচার কার্য সম্পদন করতেন। যার কারনে সবাই তাকে চুংকা আমিন বলে ডাকতো।

সেই চুংকা আমিনের ছেলে আয়ুব আলী মেম্বার সাবেক বৃহত্তর হরিশপুর ইউনিয়নের এক বার নির্বাচিত মেম্বার হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন না হওয়ায় মোট ১১ বছর ইউপি মেম্বার ছিলেন। এরপর সন্দ্বীপ পৌরসভা গঠন হওয়ায় প্রথম পৌর প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের সাথে সিলেক্টেড কমিশনারও ছিলেন।

এছাড়াও তিনি পুরাতন সন্দ্বীপ টাউনে লেপ তোষক তৈরির ব্যবসা করতেন। এর পর মুছাপুর আলিমিয়ার বাজার এ ব্যবসা করলেও গত ১০ বছর পুর্ব থেকে শারিরীক অক্ষমতার কারনে সেটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করছেন।তার চিকিৎসক জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার একমাত্র ছেলে একজন সেলসম্যানের সহযোগী। তাই স্বল্প উপার্জনে তার পরিবারের ভরন পোষন চালানো তার পক্ষে কঠিন। পিতার চিকিৎসা ব্যায় নির্বাহ করাতো একেবারে অসাধ্য। তাই চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় তিনি সকল মানবিক সংগঠন, তার সহযোদ্ধা বা পরিচিত ধনাঢ্য ব্যাক্তি সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সকল চিত্তবান ব্যক্তির কাছে করজোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তার ভাতিজা মন্জুর জানান আয়ুব আলী মেম্বার আজীবন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বর্তমানেও পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

আয়ুব আলী নিজে আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৮৫ সালের উড়ির চরে বন্যার সময় যখন মরহুম আব্দুর রব খদ্দরের বাসায় তখন প্রধান মন্ত্রী নিজের মায়ের হাতে নারকেল কোরা ও পোড়া মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়ার উদাহরন দিয়ে আমার কাছে সে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে পোষন করলে তখন সে খাবারের ব্যবস্থা করে আমি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আশির্বাদ পেয়েছিলাম,তখন প্রধান মন্ত্রীর সফর সঙ্গী ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডক্টর কামাল হােসেন ও মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাদের সার্বক্ষনিক দেখা শুনার দায়িত্বে ছিলাম আমি । এরপর আরেকবার ব্যক্তিগত ভাবে আমি ধানমন্ডী ৩২ নাম্বার বাড়িতে গিয়ে প্রধান মন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষাৎ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার বাবাকে এবং আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন।কিন্তু মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কালীন ও দল ক্ষমতায় আসলেও কারো থেকে কখনো কোন অবৈধ সুবিধা নিইনি। আমার এই শেষ সময়ে সেটা কসম খেয়ে বলছি। তাই আমার এই কঠিন সময়ে আমি আরো কিছু সময় বেঁচে থাকতে সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বর্তমান মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিমের সহযোগিতায় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রধান মন্ত্রীর ত্রান ও কল্যান তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান। তার জন্য মেয়র সেলিম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেননি।

এই মৃত্যু পথযাত্রীর চিকিৎসা সহায়তা হিসাবে যারা ওনাকে সাহায্য করতে চান তারা ওনার ব্যাক্তিগত একাউন্ট ইসলামী ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখায় ২০৫০২৬৬০২০৩৩৩১৭০০ তে এবং ওনার ছেলে মোঃ ওসমান গনি মুন্নার বিকাশ নাম্বার 01831406690 পারসোনাল নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন। এবং আয়ুব আলী মেম্বারকে সরাসরি ফোন করতে 01861057096 নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

উল্লেখ্য যে তিনি বর্তমানে পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডস্থ তেগবাজেরগো স্কুলের উত্তর পাশে আয়ুব আলী মেম্বারের নতুন বাড়িতে বসবাস করছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!