জানুয়ারিতে সন্দ্বীপে জেটির কাজ শুরু।

0 ৮৭৫,৪৬৮

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপ এলাকা সন্দীপ যেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাধীনতার পর থেকেই নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।বিশেষ করে চট্টগ্রামের কুমিরা থেকে সন্দীপ চ্যানেলের দুই পাড়ে একাধিকবার জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তা বারবার ভেঙে যায়।তাই দ্বীপের সাড়ে ৪ লাখ মানুষের সন্দ্বীপ চ্যানেল পার হওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

টেকসই জেটি ও টার্মিনালের অভাবে নৌযানে ওঠানামা করতে প্রায়ই যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।ভাটার সময় যাত্রীদের নদীর কাদাপানিতে হেঁটে গিয়ে নৌযানে উঠতে হয়।এছাড়া পণ্য পরিবহনেও মীরসরাই,কুমিরা ও সন্দ্বীপ এলাকার ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এসব বিবেচনায় চট্টগ্রামের মিরসরাই,সন্দ্বীপ এবং কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ অংশে জেটির আনুষাঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ প্রকল্পের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে কাজ বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে।এই প্রকল্পের অধীনে সন্দ্বীপ অংশে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ১০ মিটার চওড়া জেটি নির্মাণ করা হবে।এছাড়া একাধিক টার্মিনাল ভবন,মালামাল ওঠানামার জন্য আরসিসি জেটিসহ বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণ হবে।

জেটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন,সন্দ্বীপ চ্যানেলটি সাড়ে ৪ লাখ মানুষ ব্যবহার করেন।পণ্য পরিবহনের জন্যও ব্যবসায়ীদের কাছে চ্যানেলটি গুরুত্বপূর্ণ।তাই জেটি নির্মাণ হলে সব শ্রেণির মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।তিনি আরও জানান,২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ জেটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও কষ্ট দূর হয়ে যাবে।এছাড়া পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। যেখানে সন্দ্বীপের জেটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৫৬ কোটি টাকা।আর মাঠ পর্যায়ে আগামী জানুয়ারি থেকে সন্দ্বীপে জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!