মহিষ-ভেড়া চুরির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নের মহিষ-ভেড়া মালিকরা।বিগত তিন-চার মাসে ওই এলাকায় ২৯৯টি ভেড়া এবং ৬০টি মহিষ চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন মালিকের মহিষ চুরি হয় দীর্ঘাপাড় ইউনিয়নে।
৪ জনের ২৯৯টি ভেড়া ও ২৫ জনের ৬০টি মহিষ চুরি হয় এই ৩-৪ মাসে কিন্তু থানায় তেমন কোন অভিযোগ নেই।ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছেন ওই এলাকার মহিষ-ভেড়া মালিকরা।ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।জনপ্রতিনিধিও নির্বিকার এইসব চুরি ঠেকাতে।মাঝে মাঝে দুই একজন চোর ধরা পড়লেও তেমন কোন লাভ হয়নি মহিষ-ভেড়া মালিকদের।
চার জনের ২৯৯টি ভেড়া গুলো হচ্ছে,সাহাব উদ্দিনের ছেলে মামুনের ৭০টি,জয়নাল আবেদীনের ছেলে মুসলিমের ৭৭টি,বছির আহমেদের ছেলে দিদার মেম্বারের ৯০টি এবং নুর ইসলামের ছেলে মোশারফের ৬২টি ভেড়া নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
এই ছাড়া ২৫ জনে ৬০টি মহিষ মালিকদের মধ্যে,মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের ৬টি,ইদ্রিস আলমের ছেলে জামালের ২টি,মফিজুর রহমানের ছেলে তারেকের ২টি,মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আশ্রাফের ৩টি,জেবক হকের ছেলে শাহজাহানের ৬টি,রফিকের ছেলে মোবারকের ১টি,জাহাঙ্গীর সওদাগরের ছেলে মজিবের ৩টি গরু,আবুল কাশেমের ছেলে মাফুজের ৫টি,ইউনুসের ছেলে বাবুলের ৩টি,সেলিম মেম্বারের ২টি,মোহাম্মদ অলির ২টি,আলম সওদাগরের ছেলে জুয়েলের ৪টি,দুলাল মেম্বারের ১টি,আবদুল লতিফের ছেলে মতিনের ৩টি,আবদুল লতিফের ছেলে আকবর মেম্বারের ৪টি,আবদুর রউফের ছেলে মাষ্টার অহিদুল মাওলার ৩টি,বজলের রহমানের ছেলে নিজামের ২টি,খোকন মিস্ত্রির ছেলে কোরবান আলীর ৪টি,আইয়ুব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের ২টি,সুফিয়ানের ছেলে রহমানের ২টি মহিষ চুরি হয়।
এই বিষয়ে মহিষ মালিকদের সাথে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন,আমরা প্রতিদিনই আতঙ্কে থাকি কখন জানি কার মহিষ নিয়ে যায়।রাত হলেই শুরু হয় চুরি।ধারণা করা হচ্ছে নদীর ওপার থেকে বোড নিয়ে এসে মহিষ-ভেড়া উঠিয়ে নোয়াখালীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।যদিও সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ মিলেনি।
সব মিলিয়ে এই কয়েক মাসে দীর্ঘাপাড় বেড়িবাঁধ থেকে মোট ভেড়া চুরি ২৯৯টি,৬০টি মহিষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।তার মধ্যে ৩/৪টির বিষয়ে সন্দ্বীপ থানায় অভিযোগ থাকলেও বাকীরা মুখ খুলতে পারছেন না ভয়ে।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন,এতগুলো মহিষ-ভেড়া চুরি হলেও থানায় তেমন কোন অভিযোগ আসেনি।অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।