সন্দ্বীপে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার মামলার জেরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাসির উদ্দীন।

0 ৫০৭,০১৯

সন্দ্বীপে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার মামলার জেরে অতির্কিত হামলার স্বীকার মামলার বাদী নাসির উদ্দীন।

সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার একটি সি আর মামলা দায়ের করেন নাসির উদ্দীন।সি আর মামলা নং-৩১৬/২০২১।উক্ত মামলার প্রধান আসামি তাঁরই বড় ভাই দিদারুল আলম।গত ২২শে নবেম্বর মামলার শুনানিতে অংশ নিতে কোর্টে যান উক্ত মামলার বাদী নাসির উদ্দীন।শুনানি শেষে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত মামলার ২নং আসামি আবুল বসার বাবুলসহ কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে নাসির উদ্দীনের উপর অতির্কিত হামলা চালায়।

হামলার এক পর্যায়ে নাসির উদ্দীনের বন্ধু রাসেলকে আসতে দেখে হামলাকারীরা নাসিরকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।রাসেল রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান নাসির উদ্দীনকে।হামলায় আহত হয়ে সরকারি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করেন নাসির উদ্দীন।হামলাকারী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শুরু হয় নানা ধরনের হুমকি ধমকি।বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়েই চলেছেন তাঁরা।হুমকির মধ্যে নাসির উদ্দীনের পুরো পরিবার।নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে নাসির উদ্দীন।

এই বিষয়ে আজ দুপুরে সন্দ্বীপ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নাসির উদ্দীন।সাধারন ডায়েরি নং-১৪৬/২০২৩।ডাইরিতে অভিযুক্তরা হলেন,দিদারুল আলমের স্ত্রী শাহীনা আক্তার(৪০),আবুল বসার বাবুলের স্ত্রী পারভীন আক্তার,মৃত সুলতান আহম্মেদের পুত্র রফিক মেম্বার(৬০) ও দিদারুল আলম(৪৫) এবং শাহ জাহানের পুত্র শাহাদাত হোসেন(৪৫)।

সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল মেজিস্ট্রেট আদালতের মামলা সুত্রে জানা যায়,নাসির উদ্দিন তার ভাই দিদারুল আলমের কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পাওনা আর সেই টাকা না দেওয়ায় সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ জনকে আসামী করে একটি সি আর মামলা করেন নাসির উদ্দীন।মামলা নং-৩১৬/২০২১।

উক্ত মামলায় আসামিরা হলেন,মৃত সুলতান আহম্মেদের পুত্র দিদারুল আলম(৪৫),আবুল বসার বাবুল(৫৫),দিদারুল আলমের স্ত্রী শাহিনা বেগম(৪০),আবুল বসার বাবুলের স্ত্রী পারভীন আক্তার(৫০) এবং শাহ জাহানের পুত্র শাহাদাত(৪৫)।

হামলার বিষয়ে মামলার বাদী নাসির উদ্দীন বলেন,আমি আমার বড় ভাই দিদারুল আলমের কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পাবো।আমার টাকা না দিয়ে তালবাহানা করে।এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে তাই আমি আদালতের মাধ্যমে একটি সি আর মামলা দায়ের করি।সেই মামলার শুনানি শেষে বাড়িতে আসার পথেই আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা করেন বাবুলসহ কয়েকজন।আমার মাথায় পিছন থেকে রড দিয়ে মারার পর আমি মাটিতে পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়।এরপর হাসপাতালে জ্ঞান ফিরে দেখি আমার হাতে ও পায়ে তারা কুপিয়ে জখম করেছে।আমার বন্ধু রাসেল এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসা শেষে আমি থানায় অভিযোগ করি।উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি আবুল বসার বাবুলকে গ্রেফতার করেন সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।

তিনি আরো বলেন,আবুল বসার বাবুল গ্রেফতার হওয়ার পর আমার উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে বাবুলের স্ত্রী,দিদারের স্ত্রী সহ মামলার অন্যান্য আসামিরা।এমনকি আমার মায়ের কাছে ফোন করেও নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।আমাকে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি,মৃত্যুর হুমকিও দেয়।আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আজকে একটা সাধারণ ডায়েরি করি।

হামলার বিষয়ে রাসেল বলেন,আমি যাওয়ার পথে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আমার বন্ধু নাসির উদ্দীন।সাথে সাথে আমি হাসপাতাল নিয়ে যায়।আমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।একজন রক্তাক্ত মানুষকে হাসপাতাল পৌঁছে দিয়ে নিশ্চয় অপরাধ করিনি আমি।এখন আমাকে মামলার হুমকি ধামকি দেয়।

হামলার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন,সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল মেজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা চলমান আছে।হামলার বিষয়ে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।হুমকি ধামকির বিষয়ে তিনি বলেন,সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!