সাংবাদিক পুত্র আপন চাচাও জ্যাঠার আঘাতে গুরুতর আহত।

0 ২০০,২০৬

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের জালিয়া ঘাটা গ্রামে আপন ভাতিজাকে সামান্য লাকডী’র ভাগাভাগি নিয়ে মাথা ফাঠিয়ে দিলেন বলে জানা যায় ।

গতকাল ০৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় স্থানীয় জালিয়া ঘাটা সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম এর বসতবাড়ী এলাকায় এ ঘঠনা ঘঠে।

দীর্ঘদিন যাবৎ আপন ভাইদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে ও জানান স্থানীরা।

আহত সালমান সাদী (১৬) একই এলাকার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এর এক মাত্র পু্ত্র সন্তান তিনি বাঁশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। একই ঘটনায় সালমান সাদী’র পিতা সাদীকে বাঁচাতে গেলে পায়ের একটি আঙ্গুলে হাঁড় ভাঙ্গা চুট লাগে বলে জানান তিনি।

এই ঘটনায় সালমান সাদীর পিতা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলার এজহার জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্কুল পডুয়া সালমান সাদীকে এবং তার পিতা সাংবাদিক সাঈদুল ইসলামকে রাতের অন্ধকারে তার বাড়ির উঠানে আপন জ্যাঠা জাফর আলম প্রকাশ জহির মিয়া এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহ এলাকার কিশোর গ্যাং খ্যাত কয়েক জন মিলে মূলত এই পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়েছে।

সাংবাদিক সাঈদুল ইসলামের মোট ৩ টি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তার একমাত্র ছেলে সালমান সাদী কে গুরুতর আঘাত করতে পারলে কিংবা হত্যা করতে পারলে সাংবাদিক সাঈদুল ইসলাম পুত্র শূন্য হবে এবং শোকে তিনি মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে যাবে পরে এলাকার ভূমিদস্যুরা তাদের জমি জমা আপন ভাইসহ মিলে দখলে করে নিতে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে নচেৎ এহেন টুনকু ঘঠনায় একটা কচি ছেলেকে মাথায় মারাত্মক আঘাত করে না।

আহত সালমান সাদীর পিতা সাংবাদিক সাঈদুল বলেন আমি ও আমার পরিবার মারাত্নক জীবন ঝুকির মধ্যে আছি মাননীয় এমপি মহোদয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আমি এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, সরল ইউনিয়নে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে, উক্ত ঘটনায় এক স্কুলছাত্র আহত হয় এবং তিনি বর্তমানে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত স্কুল ছাত্রের পিতা থানায় এজাহার দিয়েছে আমরা এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!