নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত সোমবার(১৭ মে ২০২১ইং) সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম।একজন অনুসন্ধানী নারী সাংবাদিক।কাজ করেন প্রথম আলো পত্রিকায়।নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য তিনি। ১৭ মে সোমবার দুপুরে তিনি পেশাগত কাজে সচিবালয়ে যান।সেখানে স্বাস্থ্য সচিবের অফিসের কামলারা তাকে আটকে রাখেন।
রাত দশটার সময় প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে,দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘন্টা আটকে রাখার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছেন।তার বিরুদ্ধে গোপনে সরকারী নথির ছবি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছে আগে ঐ নথির সাথে সম্পৃক্ত প্রকল্পটির দূর্ণীতি তদন্ত করা হোক।
এরুপ নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্রাইম সংগঠন(বিএসসিএস)। এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খান সেলিম রহমান অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনাকে মুক্তির দাবি করে অবরুদ্ধ,হেনস্থা ও শ্লীলতাহানী ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করা হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্রাইম সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদুল মামুন সোহাগ বলেন আমরা এই রকম ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।নতুবা বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক সংগঠন গুলো কে একসাথে মাঠে নামার জন্য অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
কী কারনে তাকে আটকে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের ফেসবুক আইডিতে রাত ৮টার দিকে দেয়া তথ্য হুবহু তুলে ধরা হলো,”প্রথম আলোর রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,তথ্যমন্ত্রীর ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের সাথে কথা বলেছি।তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।যতটুকু জেনেছি রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিন্তু এখনও আটকে রাখা হয়েছে, হাসপাতালে নিতে দিচ্ছে না।আমি তাকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। নতুবা উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে”।
বিএসসিএস’র প্রশ্ন নারী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কোন আইনে,কেন অফিসের মধ্যে আটকে রাখা হলো?আটকবস্থায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও কেন তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছেনা?আমরা যতদূর জেনেছি রোজিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সমুদ্র ডাকাতিসম দূর্ণীতির তথ্যের খবর জানতে সেখানে গিয়েছিলেন। দূর্ণীতির সাথে জড়িতরা সেখানে তাকে হয়তোবা সাগর-রুনির মত হত্যাযঞ্জের মিশন হাতে নিতে চেয়েছিল।
বিএসসিএস’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইতিপূর্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদান যারা রেখেছেন তাদেরকে সরকারের দেওয়া সোনার ক্রেস্ট তৈরী করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের বড় ধরনের দূর্ণীতি- অনিয়ম ফাঁস করে বিপুল আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। ঐ প্রতিবেদনটিতে রোজিনা আন্তর্জাতিক ভাবেও পুরুস্কৃত হয়েছিলেন।মূলত তিনি সচিবালয় বিটের সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অফিসে এবং সচিবালয়ে বিস্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন।