অবশেষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র

0 ২০৪

মোহাম্মদ আলীঃ বান্দরবানে টানা প্রায় ৫ মাস পর অবশেষে ২১ আগস্ট শুক্রবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল পর্যটন কেন্দ্র।বান্দরবানের হোটেল-মোটেল রিসোট ব্যবসায়ীরা কিছুটা সস্থির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে।খুলে দেয়া হল জেলার হোটেল-মোটেল রিসোর্টসহ সব পর্যটন কেন্দ্র,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।জেলা প্রশাসক জানান,করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সব কিছু খোলা রাখার সিদ্ধান গৃহিত হয়।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস গুলো খুলে দেয়া হল।স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা পর্যটন কেন্দ্র গুলো ভ্রমন করতে পারবে,এক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হবে।শর্ত মেনে আপাতত সীমিত পরিসরে সব হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস খোলা রাখা যাবে এবং পর্যটন কেন্দ্র গুলোতেও পর্যটকরা ভ্রমন করতে পারবে।করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে ১৮ মার্চ থেকে জেলার সব আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস পরিবহন ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া দিয়েছে জেলা প্রশাসন।এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ঠ কয়েক হাজারো বেশি শ্রমিক-কর্মচারী।কয়েকশত কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়ে পর্যটনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত বান্দরবানে রয়েছে ছোট বড় শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস।এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।জেলাতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক চাঁদের গাড়ী এসব পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ রয়েছে ৫ শতাধিক শ্রমিক।লকডাউনের কারনে দীর্ঘ ৫ মাস তারা বেকার জীবন-যাপন করেছে।অনেকে জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছে।

অপরদিকে পরিবহন শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও আবাসিক হোটেল মোটেলা মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান,করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে বান্দরবান লকডাউন হয়ে যাওয়ার কারনে পর্যটন কেন্দ্র হোটেল মোটেল বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিক ও আবাসিক হোটেল এর শ্রমিকরা সম্পূর্ন বেকার হয়ে পড়েছে।অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।পর্যটন নগরী হওয়ায় ছুটির দিনে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসে।কিন্তু পর্যটন স্পট বন্ধ থাকায় এ বছর পর্যটকরা আসতে পারছে না।আর পর্যটক না আসলে আমাদের গাড়ী বন্ধ থাকে।তাই পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় আমরা খুশি।এখন পর্যটক আসবে আমাদের পরিবহন সচল হবে।দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হোটেল মালিকরাও।

ফানুস রিসোর্টের পরিচালক ইমরান উদ্দীন বলেন,দীর্ঘ ৫মাস বন্ধ থাকায় কর্মচারীও বিদায় করে দিয়েছি এতে সঠিক পরিচর্যার অভাবে হোটেলের অনেক আসবাবপত্র নস্ট হয়ে গেছে।এগুলো আবার নতুন করে কিনতে হচ্ছে।প্রতি বছর বন্ধের সময় বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক আসে কিন্তু দুই ঈদে লকডাউন থাকার কারনে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় পর্যটকরা আসতে পারেনি।হোটেল মোটেল বন্ধ থাকায় আমাদেরকে লোকসান গুনতে হয়েছে।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ ৫ মাস পর পর্যটন কেন্দ্রসহ হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস খুলে দিয়েছে এ জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় পর্যটন সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমান ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় আশা করি পর্যটকরা বেড়াতে আসবে এবং সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা তাদের দৈনন্দিন খরচ গুলো অন্তত যোগাড় করতে পারবে।তবে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পুষিয়ে নেয়া আদৌ সম্ভব কিনা নিশ্চত নয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!