ইকুয়েডরের কাছে হারলো কাতার

0 ২০০,০৭১

রঙিন এক মঞ্চ তাদের জন্য তৈরি ছিল।গ্যালারিভর্তি প্রায় ৬০ হাজার দর্শক, বেশির ভাগেরই সমর্থন মিলেছিল।প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্মৃতিটুকু অবশ্য রাঙাতে পারলো না কাতার।প্রথমার্ধে খেই হারানোর পর খেয়েছিল দুই গোল,সেটা আর শোধ দেওয়া যায়নি শেষ অবধি।রোববার রাতে আল রায়ত স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের কাছে কাতার হেরেছে ২-০ গোলে।এই হারে একটি নিয়মও মেনে চলতে ব্যর্থ হলো কাতার।২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর গত চার আসরে উদ্বোধনী ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা, একরকম নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটি।এবার কাতার অবশ্য হারের তিক্ত স্বাদ পেলো প্রথম ম্যাচেই।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ইকুয়েডর শিবির।গোল করে ফেলেন তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার ইনার ভ্যালেন্সিয়া।কিন্তু তাদের উৎসব একটু পরই হয়ে যায় বিষাদ।এই বিশ্বকাপে নতুন করে আসা ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড’ প্রযুক্তিতে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।

তবে ওই ব্যথা ভুলে দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে ইকুয়েডর।ফলও ধরা দেয় তাদের হাতের মুঠোয়।১৫তম মিনিটে এসে বল নিয়ে স্বাগতিকদের বক্সের ভেতর ঢুকে যান ভ্যালেন্সিয়া।এসময় তার পায়ে হাত লাগান কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল সাহাব।পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি,সঙ্গে দেখান হলুদ কার্ড।স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ভ্যালেন্সিয়া।

এরপর দ্বিতীয় গোলের দেখা ৩১তম মিনিটে এসে পায় ইকুয়েডর।এবারও তাদের হয়ে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া।সাইকাদোর বাড়ানো দারুণ ক্রসে অসাধারণ হেডে জালে জড়ান বল।ম্যাচ যেন পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা।

প্রথমার্ধের শেষদিকে একটি গোল শোধ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল কাতার।কিন্তু বক্সে দারুণ এক ক্রস পেয়েও মাথা ছুঁয়াতে ব্যর্থ হন আল মোয়েজ।তার সামনে মোটামুটি ফাঁকা নেটই ছিল।কেবল ঠিকঠাক মাথাটা ছুঁয়াতে পারলেই গোল হতো।

দ্বিতীয়ার্ধে এসে ইকুয়েডর নিজেদের লিড ধরে রাখার দিকেই মনোযোগ দেয় বেশি।কাতারও পারেনি সেরাটা খেলে ম্যাচ বের করতে।৫৫ মিনিটে দারুণ একটি সেভ করেন প্রথম অর্ধে বাজে পারফর্ম করা কাতার গোলরক্ষক আল সাহাবা।পরে এক-দুটি সুযোগ পেলেও কাতার কাজে লাগাতে পারেনি।জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!