এমভি আইভি রহমান জাহাজ সন্দ্বীপ টু গুপ্তছড়া নৌ-রুটে আরাম দায়ক ও নিরাপদ যাতায়াতে যাত্রীদের আস্থার প্রতীকে পরিনত হয়েছে।

0 ২০০,২৮৮

সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম নৌ-রুটে যাতায়াতের দুর্ভোগ সন্দ্বীপের জন্ম লগ্ন থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে নৌ-ঘাটের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গুলো সেবার মানষিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে ঘাট গুলো পরিচালনা করতে গিয়ে বার বার ইজারা প্রদান করছেন অতি উচ্চ মুল্যের খাস কালেকশনের মাধ্যমে। এতে করে ঘাটের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর প্রদানের চেয়ে ইজারাদার সহ নানা মুখী জটিলতা বা সিন্ডিকেটের কারনে ঘাটের দুর্ভোগ না কমে দিন দিন চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। বার বার ভাড়া বৃদ্ধি ও বার বার নৌ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিসির নিয়ন্ত্রনাধীন একটি বিলাস বহুল জাহাজ সার্ভিস অনিয়মিত থাকার পরে যাত্রীদের আন্দোলনে সেটি নিয়মিত সার্ভিস দিচ্ছে বর্তমানে। তবু যাত্রীরা সেটাতে সময়ের প্রশ্ন তুলে সেটিতে যাতায়াত থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে কিছুদিন স্পীর্ডবোট বন্ধ থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়ে জাহাজে যাতায়াত করছেন। আর যারাই একবার সে জাহাজে যাতায়াত করছেন তাদের কাছে একদিনেই এটি নিরাপদ ও বিলাসী যাতায়াত ব্যবস্থা হিসাবে আস্থার ঠিকানায় পরিনত হচ্ছে। অন্য যাত্রীদেরও জাহাজে যাতায়াতের আহব্বান জানাচ্ছেন তারা।

 

সরেজমিনে এই জাহাজে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রী ও ইজারাদার থেকে জানা যায় এ জাহাজের অনেক সুবিধা সহ ঝুঁকি মোকাবেলায় রয়েছে বেশ কিছু প্রস্তুতিও। শুধু জাহাজে উঠা নামায় সামান্য কিছু বিষয় নিশ্চিত করলে এটি হচ্ছে সবচাইতে নিরাপদ মাধ্যম।

 

যাত্রী ও ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান এই জাহাজে ৩ প্রকারের সিট রয়েছে প্রথমত ইকোনমি বা সাধারন সিট যার মুল্য ৮০ টাকা হলেও নৌকা ও টোল সহ ১২০ টাকা, দ্বিতীয়ত ফাস্ট ক্লাস বা স্লিপিং চেয়ার এসি সহ সর্বমোট ২৪০ টাকা এবং ২ টি সিট সহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি ভিআইপি কেবিন ১০৮০ টাকা। জাহাজে সর্বমোট সিট রয়েছে ৫০০ টি । মালের ক্যাপাসিটি রয়েছে ১৫০ টন। অন্যদিকে রয়েছে চায়ের ২টি কেন্টিন, রয়েছে পর্যান্ত ওয়াস রুম, নিচ তলায় বাচ্চাদের দুগ্ধ পানের জন্য রয়েছে ব্রেষ্ট ফিডিং রুম, রয়েছে নামাযের জায়গা। এছাড়ার ঘুরা ফেরার জন্য রয়েছে ব্যাপক জায়গা। কর্মচারী রয়েছে ২৫ জন। উদ্ধার কাজের জন্য রয়েছে ৫শ যাত্রীর লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বোট রয়েছে ২ টি, লাইফ বয়া ৬ টি,রয়েছে আগুন নির্বাপক যন্ত্রও।

 

এ সমস্ত সুবিধা দেখে অনেক যাত্রী উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন কিছু সময় বাঁচানোর জন্য মানুষ বেপরোয়া হয়ে অবৈধ নৌযানে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নেয়। তাদের বুঝা উচিত সময়ের চেয়ে জীবনের মুল্য অনেক বেশি। সকলকে আমরা জাহাজে চলাচলের অনুরোধ সহ কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি সি-ট্রাক ও পল্টুন স্থাপনের আহব্বান জানাচ্ছি।

 

অন্যদিকে ইজারাদার মোঃ ইকরাম উদ্দিন ফরহাদ জানান তিনি ইজারা নেন প্রতি ১ বছরের জন্য ৫ % হারে টিকেট বিক্রির উপর কমিশনের ভিত্তিতে। কিন্তু এক বছর ধরে লসে আছেন তিনি। কারন এতো সুবিধার পরও যাত্রীরা অজ্ঞাত কারনে কম যাতায়াত করে স্টিমারে তাই তারা একবার অনন্ত স্টিমারে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন ।তবে পুরো ঘাটের নিয়ন্ত্রন নেই তার কাছে কারন তার মধ্যে যাত্রী কূলে ভেড়ানোর জন্য লাল বোট জেলা পরিষদের ইজারা দারের দায়িত্বে পরিচালিত হয়।

 

অন্যদিকে জাহাজ ছাড়ার জন্য অফিস অর্ডার আসে বিআইডব্লিউটিসি থেকে। রাফ ওয়েদার হলে ম্যাসেজ প্লাস অফিস অর্ডার হোয়াটআ্যাপে পাঠিয়ে দেন তারা । তাই ইজারাদের একক কোন হাত নেই জাহাজ ছাড়া বা না ছাড়ার উপর।

 

ইজারাদার আরো জানান সি ট্রাক দেওয়ার যে প্রস্তাব বা আন্দোলন যাত্রীদের পক্ষ থেকে সেই সি-ট্রাক খাল ড্রেজিং করে না দিলে কোন কাজেই আসবেনা কারন এখানে চর এলাকায় সি-ট্রাক থেকে নামতে তলানী খুঁজে পাবেনা।এছাড়াও সি ট্রাক কূলে ভিড়তে কমপক্ষে ৩ ফিট পানি ও পাশে উচু পাড় লাগবে।তাই সেখানে খাল ড্রেজিং করে পল্টুন স্থাপনের কোন বিকল্প নেই। আবার স্থায়ী পল্টন করতে খাল কেটে নদীর ১ কিঃ মিঃ এর ভিতর খালের ২ পাশে গাইড ওয়াল এবং কমপক্ষে নদীর তলার সমান ৩০ ফিট গভীর ও দুটি সি ট্রাক মুভ করার জন্য ১ হাজার ফিট প্রশস্ত করে ড্রেজিং করলে নদীর তলার সমান হওয়ায় কখনো পলি জমবেনা ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!