কে হচ্ছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

0 ৩০০,০৮৬

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বর্তমানে কানাডা আছেন।আগামী সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।দেশে ফিরেই চট্টগ্রাম উত্তর,দক্ষিণ ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বসবেন বলে কথা রয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুর দিকে চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক ইউনিটে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হতে পারে বলে জানা যায়।

কে হচ্ছেন নতুন সভাপতি,কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক-এ নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ নেই।কেউ বলছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল আলম আবার কেউ বলছেন সভাপতি হবেন রাজিবুল আহসান সুমন।

প্রথম আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম শুরু থেকে সভাপতি পদে এগিয়ে ছিলেন।দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার পর সভাপতি আসা করাটা স্বাভাবিক বিষয়।এখনো পর্যন্ত প্রথম আলোচনায় প্রথমেই রয়েছেন বলে জানা যায়।

দ্বিতীয় আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজীবুল আহসান সুমন।দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকার সুবাদে এইবার সরাসরি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে দ্বিতীয় আলোচনায় তার নাম।

তৃতীয় আলোচনায় রয়েছেন ফটিকছড়ির সন্তান উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদ্য বিদায়ী যুগ্ম-সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বপন।নানা সমীকরণে সভাপতি পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

চতুর্থ আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদ্য বিদায়ী সহ সভাপতি ও মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নুর মোস্তফা মানিক।তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আশীর্বাদপুষ্ট।ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ চাইছেন নুর মোস্তফা মানিক যুবলীগের সভাপতি হোক।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাসীদের মধ্যে প্রথম আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদ্য বিদায়ী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সন্দ্বীপ মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত জননন্দিত চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান।সাধারণ সম্পাদক পদে তার জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছেন।তিনি রাজপথের ত্যাগী নেতাদের একজন।তাছাড়া অনেকদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাই এবার সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশা স্বাভাবিক।

এইদিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনেই কেন্দ্রীয় নেতারাই তাদের বক্তব্যে বলেছেন সন্দ্বীপের জনগণ বেশি,সন্দ্বীপকেই বড় করে দেখেছেন কেন্দ্রীয় নেতারাই।আর এইসব সন্দ্বীপের জনগণ সব লায়ন মিজানুর রহমান মিজানের।সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আরো আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাশেদ খান মেনন,উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

সূত্র মতে,এদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা বিচারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছেন লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান।ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা লায়ন মিজানুর রহমান মিজান সাংগঠনিক ভাবে অনেক দক্ষ লোক বলে জানা যায়।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় থাকা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জরুল আলমের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা হাটহাজারীর সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের এপিএস।

অন্যদিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাশেদ খান মেননও সাধারণ সম্পাদক পদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আছেন।তাকে নিয়ে নেতিবাচক কোনো প্রচার নেই কেন্দ্রে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!