চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

0 ৫০০,০০৫

সারা দেশের মতো চট্টগ্রামে গত কয়েক দিনে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে।এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ২ হাজার ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে ২৭৪ জন।রোগী বাড়ার সাথে সাথে হু হু করে বাড়ছে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদা।

আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফার্মেসীগুলোতে নেই ডিএনএস স্যালাইন।পণ্যের গায়ের মূল্য ১০০ টাকা লেখা থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাডিয়ে দিয়েছে এ স্যালাইনের।গতকাল ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে এ স্যালাইন।খবর পেয়ে আজ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুদের বাজার হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বরাবরের মতো ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।এসময় বেঙ্গল ফার্মেসী ও চট্টলা ফার্মেসি নামক দুটি দোকানে মাত্র ১৫০ লিটার ডিএনএস স্যালাইন পাওয়া যায়।পরে এসব স্যালাইন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অভ্যন্তরীন ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হয়।

এরপর হাজারী গলির খাজা মার্কেটের একটি দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জব্দ করা হয়।সতর্কতামূলকভাবে ৩ দোকানে জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,বাজারে প্রকৃতপক্ষে ডিএনএস স্যালাইনের কিছুটা সংকট রয়েছে।আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কথা বলবো।প্রয়োজনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা বলবো।বাজারে স্যালাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!