চট্টগ্রাম-১০ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান একেএম বেলায়েত হোসেন।

0 ৭৮০,৯৫৭

চট্টগ্রাম-১০(ডবলমুরিং,পাহাড়তলী ও হালিশহর)আসনের উপনির্বাচনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী-তা নিয়ে এলাকায় আলোচনা শুরু হয়েছে।এই আসনে দলীয় একাধিক নেতা মনোনয়ন চাচ্ছেন।তবে দল কাকে মনোনয়ন দেবে,সেটা নিয়ে চলছে কর্মী-সমর্থকদের বিশ্লেষণ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।তার মধ্যে রয়েছে,একেএম বেলায়েত হোসেন। চট্টগ্রাম-১০ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি করেন একেএম বেলায়েত হোসেন।

একেএম বেলায়েত হোসেন ১৯৫৮ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত।৬২’সালে সৈয়দপুর কায়েদ ই আজম কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় শিক্ষা আন্দোলনে মিছিল মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে গ্রেপ্তার বরন।৬৬ সালে আওয়ামীলীগের সদস্যপদ প্রহন।৮২ সালে মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা কলীন কমিটির সদস্য,এবং পর্যায়ক্রমে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সহ-সভাপতি এবং বর্তমান কমিটিতে উপদেষ্টা।

আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবর্তমানে বহুবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।এক এগারো এর সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলো।কোন দুর্দিনে দুঃসময়ে কোনদিন রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যায়নি।স্ত্রী সন্তানসহ পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসনের ১৯৯৬,২০০১ এবং ২০০৮ সালে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছে।

এ প্রসঙ্গে একেএম বেলায়েত হোসেন বলেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সাধারণ মানুষের নানা সংকটে কাজ করছি।সবসময় সংগঠনের ভাবমূর্তি যেন উজ্জ্বল হয়,সেই চেষ্টা করেছি।দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করছেন।তিনি কাকে কোথায় মনোনয়ন দেবেন,তা তিনিই ভালো জানেন। যোগ্য মনে করলে আমাকে দেবেন,না হয় অন্য কাউকে দেবেন।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসন শূন্য হয়।এখানে উপ-নির্বাচন হবে আগামী ৩০ জুলাই।বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।আগ্রহী প্রার্থীরা ৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন।মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত।১২ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ।৩০ জুলাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

পরিবারিক সূত্রে জানা যায়,২০২০ সালের জানুয়ারিতে ডা. আফছারুল আমীনের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।চট্টগ্রাম-১০ আসনে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।ক্যানসার ধরা পড়ার পর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!