চৌগাছায় শিম ৫, মরিচ ১৫, বেগুন ১৮ টাকা

0 ১৪০

চৌগাছা(যশোর)জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। বাজারে পাইকারি ব্যাপারীরা না আসায় হঠাৎ বাজার পড়ে গেছে বলে বলছেন পাইকারি (আড়ৎদার) ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পাইকারি বাজারে সবজির দাম পড়ে গেলেও মাত্র দুইশ মিটারের মধ্যে খুচরা বাজার থেকে দ্বিগুন- তিনগুন দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) শহরের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সরবরাহ কম হলে সাধারণত দাম বেশি হলেও বাজার ঘুরে দেখা যায় উল্টোটা।

বাজারের আড়ৎদার মুকুল হোসেন বলেন, আজ পাইকারি বিক্রি দর ছিলো শিম পাঁচ থেকে আট টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বেগুন ১৮ থেকে ২০ টাকা, পটল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়ো ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মূলো পাঁচ থেকে ছয় টাকা, পেপে পাঁচ থেকে আট টাকা, বাধাকপি পাঁচ থেকে সাত টাকা, ফুলকপি ১২ থেকে ১৫ টাকা করে কেজি দরে। অন্যদিকে মাত্র দুইশ মিটার দুরের খুচরা বাজারে শিমের দাম ২০ থেকে ত্রিশ, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০, কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে চল্লিশ, বেগুন ৩০ থেকে চল্লিশ, পটল ৪০ থেকে পঞ্চাশ, মূলো ১৫ থেকে বিশ, বাধা কপি বিশ থেকে পচিশ, পেপে ১৫ থেকে পচিশ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পাইকারি বাজারের আড়ৎদার মুকুল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন বলেন বাজারে বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কম আসায় সবজির দাম হঠাৎ করে কমে গেছে। যদিও গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টির পর থেকেই সবজির দাম নিম্নমুখী ছিল। মুকুল হোসেন বলেন গতকাল যে শিম ১৬ টাকা করে কিনেছিলাম আজ সেই শিম ছয় টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি জানান আমি গতকাল ১৬ টাকা দরে ৭০০ কেজি শিম কিনে বিক্রির জন্য এক পাইকারি বাজারে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে পাঁচ হাজার টাকার উপরে লস হবে।বাজারে শিম বিক্রি করতে আসা বড় খোকন নামে এক কৃষক শুক্রবার তিনি ৩৫০ কেজি শিম বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। এ প্রতিবেদকের সামনেই তিনি ছয়টাকা কেজি দরে সেই শিম বিক্রি করেন। কৃষক বড় খোকন বলেন অতি বৃষ্টিতে শিম খেতের অবস্থা খুবই খারাপ। হয়ত আর এক বা দুই দিন শিম বিক্রি করতে পারবো। এবার শিম বিক্রি করে খরচও উঠবে না বলে তিনি দাবি করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!