নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং বাঁশবাড়িয়ায় সমাবেশ।

0 ২২২

আশরাফুল ইসলাম শাহীনঃ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় আজ ১৭ অক্টোবর সকাল ১০টায়।এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন জনাব শম্পা রানী সাহা। পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।

 

বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা অফিসার ইনচার্জ সীতাকু্ন্ড মডেল থানা,চট্টগ্রাম।সভাপতি ছিলেন মোঃ শওকত আলী জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ৬ নং বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ।বিট অফিসার উপস্থিত ছিলেন এস আই মোঃ সাইফুল আলম ৮নং বিট বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন সীতাকুন্ড চট্টগ্রাম।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজাহান।উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মেম্বারগন।উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামিলীগ’ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।এতে বক্তব্য রাখেন শওকত আলী জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বলেন,নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ করতে হলে আগে মাদক সেবন বন্ধ করতে হবে।এখন দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ছেলেরা মাদকের সাথে জড়িত।তারা নেশা করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছে যেমন নারী ধর্ষণ নির্যাতন চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে, প্রত্যেক অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত তারা।যার কারণে দিন দিন আমাদের বাংলাদেশের নারী ধর্ষণ নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে।

সুতরাং প্রত্যেক ছেলে মেয়ের বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে।তারা কোথায় যাচ্ছে কি কাজ করছে সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।আমি আবারো একটা কথা বলে যাচ্ছি বাঁশবাড়িয়া মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মাদক সেবনকারী পর্যন্ত।আপনারা সবাই সাবধান হয়ে যান আজ থেকে আমার থানা পুলিশ গ্রাম পুলিশ নিয়ে আমি নিজেই অভিযান নামবো।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিট অফিসার এসআই সাইফুল আলম।তিনি বলেন আপনারা বাঁশবাড়িয়ায় জনগণ আছেন প্রায় ২৫ হাজার।আর আমরা বাঁশবাড়িয়ার দায়িত্বে পুলিশ আছি অফিসার দুইজন কনস্টেবল দুইজন মোট চারজন পুলিশ।অর্থাৎ চারজন ২৫ হাজার জনগণের জন্য কিছুই না।কিন্তু আপনারা সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।নারী ধর্ষণ নির্যাতন থেকে শুরু করে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ী পর্যন্ত যে কোন ঘটনার সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করুন।অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে যে কোনো ঘটনা বলতে পারেন।

আপনাদের সেবা করাই আমাদের পুলিশের কাজ বা দায়িত্ব।সুতরাং আপনাদের ছেলে-মেয়ে কোথায় যাচ্ছে কি করছে তা সঠিকভাবে দেখাশোনার দায়িত্ব বেশিরভাগই বাবা মা থাকা উচিত।প্রত্যেক ছেলে মেয়ের মা-বাবা একটু সচেতন হোন দেখবেন নারী ধর্ষণ নির্যাতন কেলেঙ্কারি সব বন্ধ হয়ে যাবে।আপনারা জানেন যে কিছুদিন আগে একটা পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব সৃষ্টি হয়েছিল।আমরা সবাই সেই গুজবটা সঠিকভাবে বুঝতে পারে।সেইটা একটা গুজব তা প্রমাণিত হয়েছিল।


নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। পুলিশ-জনতা দিচ্ছে ডাক নারী নির্যাতনকারী নিপাত যাক।নারী নির্যাতনের প্রতিকার বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার।আমরা হব সচেতন হতে আর দেব না নারীর প্রতি কোনো নির্যাতন।পুলিশ-জনতা ভাই ভাই নারীর নিরাপত্তায় সবার অংশগ্রহণ চাই।

নিরাপদ দেশ গড়ি নারী নির্যাতন বন্ধ করে। নারীকে সম্মান করুন এবং জরুরি পরিস্থিতির সময়ে তার সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন।ইভটিজিং, ধষর্ণ ও নিপীড়ন , বন্ধ করতে যদি করতে চাও এক সুন্দর পৃথিবী। নিরাপদ সমাজ গড়ি নারী নির্যাতন বন্ধ করি। বন্ধ হোক নারী নির্যাতন নিশ্চিত হোক দেশের উন্নয়ন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!