পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করার অপরাধে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা।

0 ৫১০,১১৩

নগরের বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকায় পাহাড় কেটে খাসজমি প্লট আকারে বিক্রি করার দায়ে স্থানীয় তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়বসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর,চট্টগ্রাম মহানগর।

মঙ্গলবার(৬ সেপ্টেম্বর)বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক মোস্তাক আহমেদ(৪৮),মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের প্রধান আবদুল মান্নান(৩৫),খাদ্য বিভাগের পরিচালক আনছার উল্লাহ(৩৮),চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বৈলতলী গ্রামের আজিজুল হক(৩৫), বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের দফাদার বাড়ির আবদুল মাবুদ(৪৫) ও বাহারছড়া রতনপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন(৭০), ভুজপুর থানার ছিকনছড়া বাজার ইউনিয়নের ইমরান হোসেন(৫০),লোহাগাড়া উপজেলার রাজঘাটা এলাকার সিপতাহুল জান্নাত(২০),মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম(৩৫) ও কামরুন নাহার(২৪)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ২৪শে আগস্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনির হোসেন ও ১ সেপ্টেম্বর পরিদর্শক রুম্পা শিকদারসহ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন জালালাবাদ মৌজার এক নম্বর খাস খতিয়ান ও ১৩৭ নম্বর খতিয়ানের ৭০৩, ৭০৫ ও ৭১৬ দাগের পাহাড় শ্রেণির জমি পরিদর্শনে যান।তারা দেখতে পান,ওইসব জায়গায় পাহাড় কেটে বসতি বানিয়ে লোকজন বসবাস করছেন।সেখানে পাহাড় কেটে কূপ ও রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।সর্বমোট ১ লক্ষ ঘনফুট পাহাড় কাটা হয়েছে।আর এসব কিছুই করা হয়েছে তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ তৈয়বের নির্দেশে।

বসবাসকারীরা জানান,তারা তালীমুল কোরআন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে জায়গার দখল নিয়েছেন।১১ বছর ধরে তারা এসব জায়গায় বসবাস করে আসছেন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়,গত ২৪শে আগস্ট পরিদর্শনের পর তালীমুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ অভিযুক্তদের নোটিশ দিয়ে শুনানিতে ডাকা হয়।কিন্তু কেউ হাজির না হওয়ায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন,এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাফেজ তৈয়বকে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৭৮ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।পরে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে আপিল করেন হাফেজ তৈয়ব।আপিলগুলো এখনো অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!