বাবার লাশ পেতে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছে ৭ মাসের ফাইজা।

0 ১,০০০,২৪৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবহান,তার লাশ খুঁজে পেতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছে ৭ মাস বয়সী মেয়ে ফাইজা।

 

আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের সামনে ফাইজার নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হয়।এ সময় নমুনা হিসেবে ফাইজার মুখের লালা নেওয়া হয়। পাশে দাঁড়িয়ে তখন চোখের জল ফেলছিলেন ফাইজার মা ইস্ফাহান সুলতানা।

 

সোবহানের পরিবারের সদস্যরা জানান,সোবহানের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন পরিবারের সদস্যরা।কিন্তু সেখানে কোনো খোঁজ মেলেনি সোবহানের।এরপর আজ ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন তারা।ফাইজারের পাশাপাশি নমুনা নেওয়া হয় তার ফুপি উম্মে কুলসুমেরও।

 

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে শনিবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এর মধ্যে ২২ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বাকিরা একটু বেশিই দগ্ধ হওয়ায় তাদের শনাক্ত করা যায়নি।তাদের মধ্যে আবদুস সোবহানও আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

যাদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি তাদের স্বজনদের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।নিহতদের বাবা-মা,ভাই-বোন বা ছেলে-মেয়ের যেকোনো দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।মরদেহের সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ভাই বাবুল মিয়ার খোঁজে এসেছিলেন সিরাজুল ইসলাম।রোববার সারাদিন ভাইকে না পেয়ে ও ভাইয়ের লাশ না পেয়ে আজ ডিএনএ দিয়েছেন।মোহাম্মদ রাসেল নামের একজনের সন্ধানে কুমিল্লা থেকে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন বাবা মো. শাহ আলম।

 

মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার কাজটি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

 

নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,২৩ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।বাকি ১৮ জনের আত্মীয়-স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।একমাসের মধ্যে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নমুনার ফলাফল দেওয়া হবে।চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৪১ জনের লাশ এসেছিল বলে জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!