মামলা দিয়ে কলম বন্ধ করা যাবেনা–বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ।

0 ১,০০০,২৫৫

ভুইফোড় সংগঠন আর ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্নে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ দিশেহারাতাদের অত্যাচারে আজ প্রকৃত সাংবাদিকরা হামলা,মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।ঐ সকল ভুইফোড় সংগঠন বা ভুয়া সাংবাদিকদের প্রতিহত করতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম’র সদস্যরা স্বোচ্চার।

বুধবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশ ও মানববন্ধনে বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

দৈনিক সরেজমিন বার্তার সিনিয়র রিপোটার শারমীন সুলতানা মিতু,সমকালের গাজীপুর প্রতিনিধি ইজাজ আহমেদ ও অপরাধ বিচিত্রা প্রতিনিধি স্বাধীন  সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র উদ্যোগে সাংবাদিক সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রির্পোটার সাঈদুর রহমান রিমন।

সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক,এম এ আকরাম’র সন্ছালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক জসীম মাহমুদ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সোহাগ আরেফিন,সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান পান্নু,শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক সেহেলী পারভীন,নির্বাহি কমিটির সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ,এস এম মুন্না,বিডিসি ক্রাইম বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক ফজলুল,সিনিয়র রিপোটার শাহরাজ উল হক।

এছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ঢাকা সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন,সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম,উপজেলা প্রেসক্লাব ফেডারেশন,বাংলাদেশ স্বাস্থ্য এন্ড পরিবেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি,বনানী প্রেসক্লাব ও মিরপুর প্রেসক্লাব। বিএমএসএফ’র  বিভিন্ন জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দ  স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে সাঈদুর রহমান রিমন বলেন, সাংবাদিক নন,অথচ কেউ কেউ সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন।তারা আবার মফস্বল পর্যায়ের ভূয়াদের অর্থের বিনিময়ে কেন্দ্রীয় নেতা বানিয়ে দিচ্ছেন।এসব অসাংবাদিক ভূয়াদের যত্রতত্র বিচরণ,তোলাবাজিসহ ইত্যাদি কারণে এই মহান পেশার মূলধারার সাংবাদিকেরা বিব্রত হচ্ছে।এমনটি চলতে দেওয়া যায়না।

তিনি আরও বলেন,এসব ভূয়া সংগঠন ও সংগঠনের কথিত নেতাদের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকদের প্রতিবাদ,প্রতিরোধ চলবে।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জসীম মাহমুদ বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছাত্রজীবনে ছিলেন একজন সংবাদকর্মী।১৯৬৯ সনের ৯ জুন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয় কলামে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক’র উপর সৃতিচারণমূলক লেখায় বঙ্গবন্ধু নিজেই তা লিখে গেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৯ সালে বিশাল বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তথ্য অধিকার আইন পাশ করেন।সেই সময় সাংবাদিক সমাজ দারুণ খুশি হয়। সুশীল সমাজেও দারুণ প্রশংসা কুড়ায় আইনটি।

এর কিছুদিন পরই ৫৭ ধারার কালাকানুন প্রবর্তন করে সাংবাদিকদের আশায় পানি ঢেলে দেওয়া হয়। এরপর আরেকটি কালাকানুন।ডিজিটাল ৩২ ধারা। যা মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়।অবিলম্বে এসব কালাকানুন বাতিলের দাবী জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!