যুবলীগের পদ ঠেকাতে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করলেন মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ।

0 ৩০০,৬৮৭

সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ।

গতকাল ১ আগস্ট(সোমবার)মাজাহারুল ইসলাম নামে একজন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলেছেন মিজানুর রহমান মিজান এবং তার ভাই মাকসুদুর রহমান তাদের জমি অবৈধভাবে দখল করেছে।আসলে তাদের এই বক্তব্য অসত্য।বিএস খতিয়ানের ২০২১২ দাগের ওই জমি ১৯৮০ সালে আমার বাক প্রতিবন্ধী মা হোসনে আরা বেগমকে তার ভাই-বোনেরা রেজিষ্ট্রি করে দান করেন।পরে ২০১৬ সালে আমরা মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমানের নিকট জমিটি সাফ কবলায় বিক্রি করি।এরপর মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমান তাদের নামে আলদা খতিয়ান সৃজন করে খাজনা প্রদান করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ গোলাম কিবরিয়া মঞ্জুর, কাজী আরিফুর রহমান মেহেরাজ মেম্বার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১ টায় একই স্থানে উত্তর জেলার পদ ঠেকাতে লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করার অভিযোগ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুর রহিম শিবলি বলেন,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান ও তার ছোট ভাই সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন,মিজানুর রহমানের চেয়ারম্যান সফলতা অর্জন করায় সরকারী ও বে-সরকারী বিভিন্ন সংস্থা থেকে বেশ কয়েক বার পুরুস্কৃত হয়েছেন। তিনি ইউনিয়নবাসীর নিকট একজন সফল ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়,মিজানুর রহমান মিজান উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার পর থেকে যুবলীগের পদ ঠেকাতে প্রতিপক্ষ একটি কু-চক্রী মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য অপপ্রচার চালিয়ে তার জনপ্রিয়তা ঠেকানো যাবেনা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,মজহারুল ইসলাম জামাত নেতা।তাকে দিয়ে মার্শালসহ কয়েকজন মিলে মিজনুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনটি ছিল সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমরা মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের পক্ষ থেকে এহেন মিথ্যা সাজানো ও ষড়যন্ত্রমুলক সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

নিম্নে সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা দেওয়া হলঃ

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধু গণ আসসালামু আলাইকুম /আদাব,গতকাল ১লা আগস্ট ২০২২ ইংরেজি তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কতিপয় দুষ্কৃতকারী, অসৎ উদ্দেশ্যের কয়েকজন লোকজন দ্বারা মাইটভাঙগা ইউনিয়ন পরিষদের তিন-তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহামমদ মিজানুর রহমান মিজান ও সন্ দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভূয়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি সংবাদ সম্মেলন আমাদের নজরে এসেছে। জনাব লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান ও সন্ দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদুর রহমান যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সমাজসেবা,দান-অনুদানের মাধ্যমে মানুষের আস্থা, ভালোবাসা অর্জন করে নেতৃত্বের সামনের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনই একদল ষড়যন্ত্রকারী তার পিছনে লেগেছে অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদের সুনাম নষ্ট করতে। আমরা মাইটভাঙগা ইউনিয়ন যুবলীগের পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অসত্য, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সত্য বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য হাজির হয়েছি।

পরবর্তীতে ২০০১ সালে জামায়াত বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিবির নেতা মাজহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা…. সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমি দখল করার জন্য অনেক বার চেষ্টা করে। এমনকি প্রতিবন্ধী হোসনে আরা বেগমকে অনেকবার শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এসব ঘটনার অনেক বিচার শালিশের সাক্ষী আমরা নিজেরাও আছি।পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হোসনে আরা বেগম তার সম্পত্তি ন্যায্য মূল্যে মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমানের নিকট বিক্রি করে।এর কয়েক বছর মাজহারুল ইসলামের ভাইয়ের স্ত্রী শামছুন নাহারকে দিয়ে ওই সম্পত্তি তার দাবি করে ১৮/০২/২০১৯ তারিখে সন্দ্বীপ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২১২ দাগের ওই সম্পত্তি তাদের বুঝাইয়া দেওয়ার আবেদন করেন।আদালত সার্ভেয়ার, উপজেলা ভূমি অফিস দ্বারা ওই জমির উভয় পক্ষে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে হোসনে আরা বেগমের পক্ষে ২০/০৩/২০১৯ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে উক্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করে মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমানকে বুঝিয়ে দেন।গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল ইসলাম সেই কথা উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে গোপন করে গিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে মাজহারুল ইসলাম গং ২১/০৪/২০১৯ তারিখে ডিগ্রি পাওয়ার আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলাটি বর্তমানে সন্দ্বীপ নিম্ন আদালতে চলমান রয়েছে।

২৩/০৫/২০১৯ তারিখে চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে একটি অপর মামলা (মামলা নং -১৩২/২০১৯)দায়ের করে।
আদালত জনাব মিজানুর রহমান এবং মাকসুদুর রহমানকে নোটিশ করলে তারা উপুযুক্ত দলিলপত্র সহ তার জবাব প্রদর্শন করায় সেটি বাতিল হয়ে যায়।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুগণ,যেখানে আদালত তাদের মামলা খারিজ করে মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমানের পক্ষে রায় প্রদান করেন, মাজাহারুল ইসলাম গংদের বিপক্ষে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে সেখানে মাজাহারুল ইসলাম গংদের এই সংবাদ সম্মেলন যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা আর বলার অবকাশ রাখে না।এছাড়াও আরেকটি মামলা যেখানে আদালতে বিচারাধীন সেখানে এমন সংবাদ সম্মেলন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র সেটা কারোরই বুঝার বাকি থাকে না।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
সংবাদ সম্মেলনকারী এই মাজহারুল ইসলাম জামাত নেতা এবং এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু।২০০১ সালের পরে সে বিএনপির সন্ত্রাসী শাহাদাত সহ এলাকায় বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করেছে।শাহাদাত বর্তমানে ও জবর দখলে ব্যস্ত।সে মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার গোলাম মোস্তফা সাহেবের সন্তান মাওলানা আবদুর রহিমের দোকানঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া পরিশোধ বন্ধ করে রাখে।ফলে হাফেজ আবদুর রহমান শাহাদাতকে দোকান ছেড়ে দিতে বলে।শাহাদাত ভাড়া পরিশোধ বন্ধ ও দোকান ছাড়া থেকে বিরত থাকলে হাফেজ আবদুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হন।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান শাহাদাতকে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করে ৩ মাসের মধ্যে দোকান ছাড়ার নির্দেশনা দিলেও সে তা মান্য না করে উল্টো গালিগালাজ করতে থাকে। এর ৪ মাস পর বিষয়টি হাফেজ আবদুর রহমান মাকসুদুর রহমানকে জানান। মাকসুদুর রহমান তিনি তাকে দোকান কেন ছাড়ছেন না তা জানতে চাইলে শাহাদাত উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসতে গিয়ে পড়ে যায়।সে এখনো পর্যন্ত ওই দোকান দখন করে রেখেছে।

মার্শাল সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে তার কোন সম্পর্ক না থাকলেও সে অপরাধীর সাথে যোগসাজশ করে এই জমি দখলের পায়তারা করছে।উল্লেখ্য মার্শালের বিরুদ্ধে শিবের হাটের জুয়ালারী ডাকাতি,জলদস্যুতা,হত্যার চেষ্টা, অপহরণ, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধে অরর্দডজন মামলা সহ এক ডজনের বেশি অভিযোগ রয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা গতকালের সংবাদ সম্মেলনটি ছিল সম্পুর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের পক্ষ থেকে এহেত মিথ্যা সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।পাশাপাশি এইধরনের দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

ধন্যবাদন্তে,
মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের পক্ষে সভাপতি
আবদুর রহিম শিবলি- মেম্বার

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!