রামগঞ্জে “অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প ” এর তালিকা প্রকাশ

0 ৩৫৫

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর “অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্প”এর আওতায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করেন প্রকল্প যাচাই বাচাই কমিটির সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা।এ তালিকাকে রামগঞ্জের সর্বস্তরের জনগন অতীতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া যেকোন সহায়তার তালিকার থেকে সর্বাধিক সচ্ছতার ভিত্তিতে তৈরী তালিকা হিসেবে মতামত প্রকাশ করেন।

জানা যায়,সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা সভাপতি থেকে অসহায় ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় এমপি ড.আনোয়ার খানের মনোনীত আকম রুহুল আমিন,নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহম্মদ,উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল হাসান,উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি যাচাই বাচাই কমিটি গঠন করেন।উক্ত কমিটি প্রায় ২শত আবেদন দেড় মাস ব্যাপী সরেজমিনে গিয়ে যাচাই বাচাই করে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা,যাদের জরাজীর্ন ঘর,উপার্জন সক্ষম সন্তান নাই,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ব্যতিত অন্য কোন সুবিধা গ্রহন করেননি ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে ৩২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকায় পৌরসভা ৬জন হল-বাদশা মিয়া,আব্দুল খালেক,আবু তাহের,তোফায়েল আলম মনু,মৃতঃ আব্দুল জলিল (ইপিআর) ও নুরুল ইসলাম।১নংকাঞ্চনপুর ইউনিয়নে ২জন হলো-আবুল হোসেন খান ও মোঃ মকবুল হোসেন।২নং নোয়াগাও ইউনিয়নে ২জন-শহিদ মোঃ ইয়াকুব আলী ও সফিক উল্যাহ।৩নং ভাদুর ইউনিয়নে ২জন-মোঃ সিরাজ মিয়া ও আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী।৪নং ইছাপুর ইউনিয়নে ১জন – মোঃ আমিন উল্যাহ।৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নে ৫জন-শহিদ রফিকুল ইসলাম,ইদ্রিস মিয়া পাইন,মোঃ সিরাজুল হক,আব্দুল মান্নান,শহিদুল ইসলাম। ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নে ৫জন – শহিদ আনছার আলী, নুরুল আমিন, তাজুল ইসলাম, সেকান্দার ভুইয়া ও মৃতঃ তোফাজ্জল হোসেন।৮নং করপাড়া ইউনিয়নে ২জন-আনোয়ার হোসেন ও হাফিজ উল্যাহ।৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নে ৩জন-মোঃ আব্দুস সাত্তার,মৃতঃ মোঃ আবুল কাসেম চৌধুরী ও মৃত আবুল হাসেম।১০নং ভাটরা ইউনিয়নে ৪জন হল-শহিদ নুরুল হক মিয়া,নুরুল ইসলাম লাতু,মোঃ শাখাওয়াত উল্যাহ ও .মোঃ সিরাজুল ইসলাম অন্তর্ভূক্ত হন।

এব‍্যাপারে ফারুক হোসেন,আনোয়ার হোসেন,জহিরুল ইসলামসহ অনেকে জানান,অতীতে সরকার একই প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মান করে দিয়েছিল ।তখন তালিকা সঠিকভাবে না করার কারনে এসব অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা বাদ পড়ে যায়। সেখানে অনেক সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা নানা তদবিরের মাধ্যমে ঘর বরাদ্ধ নেয়।তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান সঠিক সচ্ছতার ভিত্তিতে এ তালিকা করার জন্য।যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, নির্বাহী কর্মকর্তার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে আমরা যাচাই বাছাই কমিটির সদস্যরা নীতিমালা অনুযায়ী সঠিকভাবে এ তালিকা করতে পেরেছি।

নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেও সকলের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, দীর্ঘ দেড় মাসের সরেজমিন পরিদর্শন,যাচাই-বাছাই,মনিটরিং ও আলোচনা শেষে “অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প ” এর তালিকা প্রকাশ করা হল।নীতিমালা মেনে সর্বোচ্চ প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে।তথাপিও যদি কারো মনে হয় তিনিও এই তালিকায় থাকার যোগ্য তাহলে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আপীল করতে পারবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!