সন্দ্বীপের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দ পাঠশালা’র সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
সন্দ্বীপের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দ পাঠশালা’র সহকারী শিক্ষক আবু তাহের মামুনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর অবিভাবক সৌরভ আহমেদ বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দ পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাকিবুল হোসাইন এবং নির্বাহী কমিটির সভাপতির পক্ষে মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিনের সাক্ষরিত একটি বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।বহিষ্কার আদেশে উল্লেখ করা হয় গত ২০শে নবেম্বর রোজ রবিবার নবম শ্রেণির দু’জন ছাত্রী অভিযোগ করেন তাদের হাত দিয়ে মারা হয়েছে।উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে উক্ত সহকারী শিক্ষক আবু তাহের মামুনকে বহিষ্কারের আদেশ দেন।বহিষ্কার আদেশে আরো উল্লেখ করেন যে,নির্বাহী কমিটি তদন্ত করবেন এবং তদন্ত শেষে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
এই বিষয়ে আনন্দ পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রাকিবুল হোসাইনের জানতে চাইলে তিনি বলেন,ক্লাসে ৪৩জন ছাত্রী ছিলো।মেয়েটি অংক করে নাই বলে শিক্ষক একটা থাপ্পড় দিয়েছে।ভূল বসত বেত দিয়ে না মেরে হাত দিয়ে মেরেছে থাপ্পড়টি।তবে পিঠে মেরেছে সিসিটিভি ফুটেজে দেখে আমি শিক্ষককে অলরেডি বহিষ্কার করে দিয়েছি।
এই বিষয়ে ছাত্রীর পিতা সৌরভ আহমেদ বলেন,আমরাও শিক্ষকদের মার খেয়েছি কিন্তু শিক্ষক বেত দিয়ে না মেরে হাত দিয়ে পিঠে মারায় আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দিয়েছি এবং বিচারও হয়ে গেছে।শিক্ষককে বহিষ্কার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।এই বিষয়ে তার কোন অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা কি শিক্ষকদের মার খায় নাই,আপনারা খান নাই,শুধু সমস্যা হয়েছে হাত দিয়ে পিঠে থাপ্পড় দেওয়ার কারণে।আর একজন্য বিচার চেয়েছি এবং বিচার পেয়েছি।আর কোন অভিযোগ নেই।
এদিকে অভিযুক্ত আবু তাহের মামুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,মেয়েদের পিছনে আমার হাত দেওয়া উচিত হয় নি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমাকে আরো সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিলো।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন,ঘটনার সত্যত্যা যাচাইয়ে পোর্স পাঠিয়েছিলাম,ছাত্রীর পরিবার কিংবা কারো পক্ষ থেকে কোন রকম অভিযোগ দেয় নাই।আর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খিসার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।