সন্দ্বীপে চুরির সময় জনগনের হাতে ২ সিঁধেল চোর আটক,চুরির দায় স্বীকারোক্তির পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর।

0 ৩০০,৭২৫

সন্দ্বীপ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নুরনবী মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিধেল চুরি,মোবাইল ছিনতাই সহ নানান রকম চুরির ঘটনা ঘটছে।এ চোরদের মুল টার্গেট মানুষের মোবাইল ফোন,স্বর্নালংকার সহ নানান দামী জিনিস।যা সহজে বিক্রি যোগ্য।এছাড়াও সাইকেল,হোন্ডা, ছাগল,হাঁস মুরগী সহ গরু চুরির মতো ঘটনাও ঘটছে।

এসব চুরির ঘটনায় রাত নামলেই মানুষ আতংকে থাকে।তাই কিছু দিন ধরে চোরদের পাকড়াও করতে এলাকার জনগন সহ জনপ্রতিনিধিরাও সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।তারই প্রেক্ষিতে গতকাল রাত দুইটা ৩০ মিনিটে আবারও নুরনবী মার্কেটে জাবেদ এর চায়ের দোকান ও মসজিদের ফ্যান চুরির সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে ২ চোর।

একজনকে চায়ের দোকানের খাটের নিচে লুকায়িত অবস্থায় অন্যজনকে বাইরে থেকে ধরে ফেলেন জয়নাল নামে আরেক ব্যবসায়ী।এরপর এলাকার সকলে মিলে রাতে মার্কেটে বেঁধে রেখে সকালে সন্দ্বীপ পৌরসভা অফিসে নিয়ে আসেন তারা।

পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম ও প্যানেল মেয়র সফিকুল মাওলা তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রায় ১০/১২ টি ঘর ও দোকানের মালামাল চুরির ঘটনা স্বীকার করে।ধৃত ২ চোরের নাম হলো জাফর- পিতা -লিটন ও রহিম পিতা -ফোরকান ২ জনই পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের বাহার আলী হাজির বাড়ি।

তাদের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করে মেয়র ও কাউন্সিলর জনগনের উপস্থিতিতে তাদের পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ সময় মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম, কাউন্সিলর সফিকুল মাওলা সহ এলাকার জনগন জানান প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী অতিষ্ট হওয়ায় আমরা চোর চক্রকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।

গতরাতে এই ২ জন ধরা খেলেও তাদের সিন্ডিকেটের সবাইকে ধরতে হবে।তাদের বিক্রিত মালামাল উদ্ধার করা সহ এলাকায় চুরি বন্ধ করতে আমরা এখন তাদের থানায় হস্তান্তর করেছি।আশা করি তাদের হস্তক্ষেপে বাকি চোররাও ধরা পড়বে।

এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী সহ এলাকায় যাদের দোকান ও ঘর চুরি হয়েছে এমন অনেক লোক এসে তাদের চুরি যাওয়া মালামালের বর্ননা দেন।অনেকে দামী জিনিস হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন আমরা আমাদের চুরি যাওয়া মালামাল ফেরত চাই এবং চিরতরে চুরি বন্ধ করার জন্য প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

লোকজন আরো জানান এরা চুরির টাকা দিয়ে নেশা করে এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে বিভিন্ন রকমের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটায়।এবং তারা নেশাদ্রব্য বিক্রি করে তরুনদের নেশার দিকে ধাবিত করে তাদের নৈতিক অধঃপতন ঘটায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!