সন্দ্বীপে মুক্তিযোদ্ধার ঘরে তালা।

0 ৪৫,৮২৯
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সাহাবউদ্দিন এর বসতঘরে আপন ভাই কর্তৃক তালা মেরে দেয়ার এক অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে গাছুয়া ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুল মনাফ সওদাগরের বাড়ীতে।

 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সাহাবউদ্দিন এর ঘরের দরজায় উপর-নীচ করে দুটি তালা মারা,এবং মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ছকিনা বেগম(৬৫)ঘরে ঢুকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ছকিনা বেগম এ প্রতিবেদক কে বলেন-তিনি একাই ঘরে থাকতেন,তার দ্বিতীয় কন্যা সন্তান সম্ভাবা হওয়ায় তাকে দেখতে কয়দিন পূর্বে তিনি ঘরে তালা মেরে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান,এ সুয়োগ কে কাজে লাগিয়ে তার দেবর, মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন এর ছোটো ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাহার চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ এসে ঘরের দরজায় আরেকটি তালা মেরে আবার চট্টগ্রাম চলে যান।ফলে তিনি বাড়িতে এসে আর ঘরে ঢুকতে পারছেন না বলে জানান।

একই অভিমত জানিয়েছেন,দ্বিতীয় মেয়ের জামাতা মোশারফ হোসেন।তিনি-বলেন বিষয়টি অমানবিক,এ ব্যাপারে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন,এবং সুবিচার দাবী করেন।

তবে,ভিন্ন কথা শোনা গেলো মুক্তিযোদ্ধার ছোটো ভ্রাতা শাখাওয়াত হোসেন বাহার এর মুখে,তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে বলেন-আমি নই,আমার মুক্তিযোদ্ধা ভ্রাতা সাহাবউদ্দিন এর অন্য দুই মেয়ে ঐ সময়ে বাড়িতে এসে দরজায় তালা দেখে ঘরে ঢুকতে না পারার কারনেই ঘরের দরজায় আরেকটি তালা মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।

তিনি আরো স্বীকার করেছেন তাদের ৮ ভাই-বোনদের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তির কোনো ভাগ ভাটোয়ারা এখনো হয়নি,পৈতৃক ঘরটিই তাদের সকলের ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ঐ ঘরে একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ছকিনা বেগমই থাকেন এবং মাঝে মধ্যে তার দ্বিতীয় কন্যাও জামাতা সহ থাকতেন।তার তিন মেয়ে থাকলেও কোনো পুত্র সন্তান নেই তার।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবছার এর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন-এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

সবশেষে জানা গেছে,মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এই ঘটনায় আজই আইনের আশ্রয় নেবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!