সন্দ্বীপ নির্বাচন অফিস যেন অনিয়মের স্বর্গরাজ্য।

0 ৫০৯,৯০৯

প্রধান নির্বাচন কমিশনের গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপ,তবুও কেন উপজেলা নির্বাচন অফিসের সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন এমন প্রশ্ন সন্দ্বীপবাসির।নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এস এম কাদেরের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা যায় যে,সাপ্তাহে মাত্র তিন দিন অফিস করেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এস এম কাদের।এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবা গ্রহীতারা।একাধিক গ্রাহকদের অভিযোগ এস এম কাদের দ্বায়িত্বে আসার পর নির্বাচন অফিস দূর্নিতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।

ভুক্তানবীর আহম্মেদ রিপাত(৩০)নামে এক ভুক্তভোগী বলেন,নির্বাচন অফিসের বাইরের কিছু দালাল রয়েছে যাদের মাধ্যমে যে কোন সেবা টাকার বিনিময়ে সহজে পাওয়া যায়।অন্যথায় পড়তে হয় বিপাকে।আমি নিজেই ভোগান্তির শিকার হয়েছি।

আবদুল কাইয়ুম(২৭)নামে আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন,আমি আমার বোনের ভোটার আইডি সংশোধন করতে যায়।এতে আমাকে দালাল বলে নাজেহাল করে।পরে আমাকে তথ্যের অজুহাতে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ প্রায় ছয় মাস ঘুরাতে থাকে।সব কাগজ পত্র একসাথে না চেয়ে এক এক দিন এক একটা কাগজ চাই।তাদের ব্যবহারও খুবই খারাপ।

মোহাম্মদ শরাফত নামে আরো একজন ভুক্তভোগী বলেন,দালাল ছাড়া অফিস নিয়মে সেবা নিতে গেলে নানা ধরনের হয়রানীর স্বীকার হতে হয়।চাওয়া হয় অপ্রয়জনীয় তথ্য।এমন কি খারাপ আচরণও করে থাকেন অফিস কর্মকর্তা এস এম কাদের সহ অফিসের অন্যান্য সহকারীরা।

তিনি আরো বলেন,আমি সেবা নিতে গেলে আমার কাছে বাহিরের এক দালাল প্রথমে দশ হাজার টাকা দাবী করেন।পরে আমি রেগে গেলে কাগজপত্র মিসিংয়ের অযুহাতে চা-নাস্তা বাবদ দুই হাজার টাকা দাবী করেন।

এই বিষয়ে কালাপানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুর রাজী টিটু বলেন,আমার ইউনিয়নের একাধিক মানুষ নির্বাচন অফিসের সেবা নিতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম কাদের এক সাথে সব তথ্য না চেয়ে দপায় দপায় তথ্য চান।

এমন অভিযোগ স্বীকার করে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এস এম কাদের বলেন,অতিরিক্ত কাজের চাপে মাঝে মাঝে কিছু মিসিং হতে পারে।গ্রাহক হয়রানি ও দূব্যবহারের অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন,আমরা না বরং গ্রাহক আমাদের হয়রানি করেন।তবে আমরা যেহেতু কাজের চাপে থাকি এতে মাঝে মাঝে কিছু উল্টা পাল্টা কথা হতে পারে।তবে দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ এবং অবৈধ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এস এম কাদের।

নির্বাচন অফিসের ভোগান্তির বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেন,নির্বাচন অফিসার ঠিকমতে অফিস করেন না,তার উপর নানা ধরনের হয়রানি করেন গ্রাহকদের।এক কথায় টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না তিনি।

নানা অনিয়ম দূর্নিতির বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন গ্রাহকদের অভিযোগ গুলো আমার কাছে লিখিত ভাবে পাঠান।যাছায় করে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!