খুটাখালী বাজারে কোটি টাকার জমি ভাগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীকে হয়রানি

0 ১৯২

সেলিম উদ্দিনঃ চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে বিরোধপূর্ণ কোটি টাকার জমিতে মালিকানা নিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।একটি পক্ষের লোকজন মুলত খুটাখালী মৌজার ২২০০ দাগের জমি ক্রয় করে ২২০১ দাগের জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ফরিয়াদি ব্যবসায়ী কামাল উদ্দীন।

তার অভিযোগ স্থানীয় নুরুল আজিম লোভের বশবর্তী হয়ে অন্য পক্ষ থেকে নামে মাত্র দখল কিনে আমার কোটি টাকার জমি লুটে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন।অন্যদিকে উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে একই জমির মালিকানার দাবিতে অনড় ব্যবসায়ী কামাল উদ্দীন। ১১ কড়া সাড়ে ৩ শতক জমিটির দাম প্রায় কোটি টাকা।তার বাবা জমিটি ক্রয় করেন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৫ সালে দোকান নির্মাণ করেন।

এসব জমির মালিকানা নিয়ে বিগত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে দখলে ছিলেন বলে দাবী করেছেন তিনি।তবে প্রতিপক্ষের লোকজন বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।উপজেলার খুটাখালী পুর্ব পাড়ার বাসিন্দা মরহুম কবির আহমদ ঠান্ডা মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান) এর ক্রয়কৃত দলিল সুত্রে জানা গেছে, বিআরএস রেকর্ড জরিপ অনুযায়ী জমির মালিক মরহুম কবির আহমদ ঠান্ডা মিয়া। ওয়ারিশ সুত্রে এ জমিতে সব স্বত্বে দেখভালে ছিলেন তারই পুত্র কামাল উদ্দীন। এমনকি ২০১৭ সালে ওই জমিতে প্রথম দোকান নির্মাণ শুরু করে কামাল উদ্দীন।

অন্যদিকে ওই জমি পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া মালিকানার দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে ২৮ বছরের আইনি লড়াইয়ে বিগত ২০০২ সালে উচ্চ আদালতে রায় পেয়েছেন তিনি।উচ্চ আদালতে প্রতিপক্ষ আলী আকবর, মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ কালু’র বিরুদ্ধে করা মামলায় গত ২০০২ সালে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।তাঁর দাবি,খুটাখালী মৌজার আরএস সিট নং ২ এর প্রায় সাড়ে ৩ শতক জমি তৎমধ্যে ২ শতক ( ৬ কড়া) জমি আরএস খতিয়ান নং ২৪৮, এমআরআর খতিয়ান নং ২৩৮, আরএস দাগ নম্বর- ১৩৫৯ এর পৈত্রিক দলিলমূলে তিনি মালিক।

অপরদিকে একই মৌজার দেড় শতক (সাড়ে ৪ কড়া) জমির বিএস দাগ খতিয়ান নং ২৫৫, সৃজিত খতিয়ান নং ১১০৪, বিএস দাগ নং ২১৯৯ এর মালিক তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। যার সৃজিত খতিয়ান নং ১৭০০।তার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ভিন্ন খতিয়ান ও ভিন্ন ভিন্ন দাগ দেখিয়ে জমিটি ভাগিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়েছে।

এরপর ওই জমি দখলমুক্ত করতে করা সব মামলায় প্রতিপক্ষরা হেরেছে, আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন।কামাল উদ্দীন বলেন, মালিকানা বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে করা মামলার রায়ে যা হয়েছে সেটা তাঁরা মেনে নিয়েছে।

অপরদিকে নুরুল আজিম বিগত ২০১৭ সালে কক্সবাজার দ্রুত বিচার আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে। তবে এ মামলার রায়ও কামাল উদ্দীনের পক্ষে রয়েছে।কামাল উদ্দীন আরো বলেন,তার বাবা মরহুম কবির আহমদ ঠান্ডা মিয়া ও স্ত্রী সেলিনা আক্তারের নামে প্রায় সাড়ে ৩ শতক ১১ কড়া জমি) দোকান-বাড়ি) জমি রয়েছে।

উক্ত জমি ১৯৯০ সালে প্রতিপক্ষ আলী আকবর গং নিজেরা বেআইনীভাবে দখলে নেয়। এসময় তারা ২২০০ দাগের জমি ক্রয় করে ২২০১ দাগের জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করে।পরে কবির আহমদ ঠান্ডা মিয়ার পুত্র কামাল উদ্দীন চকরিয়া ভুমি অফিস থেকে আরএস এর সব কাগজপত্র তুলে চকরিয়া থানায় বৈঠকে করেন। বৈঠকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আজিম।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মামলার পরে জমির দখল ফিরিয়ে পান কামাল উদ্দীন।

এরপর অভিযুক্তরা পুনরায় জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং কামাল উদ্দীনকে পুলিশ দিয়ে এবং মামলার মাধ্যমে হয়রানী করে।তিনি বিষয়টি সুষ্ট তদন্তপুর্বক তার জমি ফিরিয়ে পেতে মাননীয় ভুমিমন্ত্রী, কক্সবাজার ডিসিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!