এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং সমন্বয় করা যাচ্ছে না চট্টগ্রামে।

0 ৩০০,৩৪৫
চট্টগ্রামে এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে লোড শেডিং সমন্বয় করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে পিডিবির। ঢাকায় এলাকাভিত্তিক লোড শেডিংয়ের সূচি প্রকাশ করা হলেও চট্টগ্রামে গতকাল পর্যন্ত সেটা করা হয়নি। বিভিন্ন সাব স্টেশনের অধীনে যেসব ফিডার রয়েছে, সেই ফিডারভিত্তিক একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে।তবে গতকাল প্রথম দিনে নগরীর অনেক এলাকায় ১ ঘণ্টার লোড শেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে পারেনি পিডিবি।নগরীর বেশ কিছু এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ভোগান্তির কথা আজাদীকে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোড শেডিং ব্যবস্থাপনায় এই ঘাটতি হয়েছে বলে জানান পিডিবি কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ বিভাগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সাব স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীরা গতকাল জানান,চট্টগ্রামে এলাকাভিত্তিক তালিকা করে লোড শেডিং সমন্বয় করা যাচ্ছে না।মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করেই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাবে।তালিকা করে এটা সমন্বয় করা কঠিন বিষয়। বিদ্যুৎ সিস্টেমটা সবসময় ওঠানামা করে।এটা যদি সুনির্দিষ্ট থাকে তাহলে ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।কিন্তু ব্যবহারের কারণে সবসময় ওঠানামা করে। তখন এলাকাভিত্তিক বিদ্যুতের লোডশেডিং ঠিক রাখা সম্ভব হয় না।
এই ব্যাপারে পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান,আমাদের ৮৩টি সাব স্টেশনের অধীনে ৪৫০টি ফিডার রয়েছে।একই সময়ে এতগুলো ফিডার খোলা ও বাঁধার মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন চালু এবং বন্ধের কাজটি করতে হয়।যার কারণে শিডিউল ঠিক রাখাটা কঠিন।একশ মেগাওয়াটের সম্ভাব্য লোডশেডিং ধরে পরিকল্পনা করার পর যদি দুইশ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয় সেক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে।হয়তো আমরা যেই সিডিউলটা করবো প্রথমে এক-দুইদিন একটু এদিক-সেদিক হবে।এরপর সিস্টেমে চলে আসবে।
পিডিবি’র খসড়া তালিকায় গত মঙ্গলবার ১০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি লোড শেডিংয়ের হিসেব ধরা হলেও লোড শেডিং হয়েছিল ২৬০ মেগাওয়াট।পিডিবি থেকে জানা যায়,সকালে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৪২৬ মেগাওয়াট তার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ১ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট।চট্টগ্রামের রাউজান,কাপ্তাই,শিকলবাহা, দোহাজারী,ইউনাইটেড,আনলিমা,বারাকা কর্ণফুলী, শিকলবাহা বারাকা,এনার্জি প্যাক,জুডিয়াক পাওয়ার, রিজেন্টসহ ১৬টি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র মিলে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২১৮ মেগাওয়াট। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে নেয়া হয়েছে ১৯৫ মেগাওয়াট।আর পিক আওয়ারে চট্টগ্রামের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৪১১ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৯১ মেগাওয়াট।
উল্লেখ্য,এখন ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আপাতত বন্ধ রেখে গত মঙ্গলবার থেকে উৎপাদন কমিয়ে প্রতিটি এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ না দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় সরকার।তবে এলাকার নাম দিয়ে লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রস্তুত করে সেটাতে অভ্যস্ত হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানান পিডিবির কর্মকর্তারা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!