কারা হলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য

0 ৫০৯,৮৫৪

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ১৫জন সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে চার উপজেলায় ৪ জন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।ইভিএমে ভোটগ্রহণ হওয়ায় দুপুর ২টায় ভোট শেষ হওয়ার পরপরই প্রতিটি উপজেলায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

বাঁশখালীঃ বাঁশখালী উপজেলায় সদস্য পদে ১৩নং ওয়ার্ড হতে নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম ৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।বাঁশখালীতে মোট ১৯৭ ভোটের মধ্যে ১৯৫ ভোট রেকর্ড করা হয়েছে।এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৮১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১৪ ভোট।চট্টগ্রাম জেলায় সবোর্চ্চ ১০জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছিল বাঁশখালীতে।এর মধ্যে বাঁশখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাধারণ সদস্য পদে নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম ক্রিকেট ব্যাট প্রতিকে ৮৯ভোট,মোজাম্মেল হক সিকদার উটপাখি প্রতিকে ৩৭ভোট,মোহাম্মদ আলমগীর কবির টিউবওয়েল প্রতিকে ২৩ভোট,হামিদ উল্লাহ বক প্রতিকে ১৮ভোট, এম জিল্লুল করিম শরীফি অটোরিক্সা ১৭ভোট,মৌলভী নুর হোছাইন টিফিন ক্যারিয়ার প্রতিকে ৬ভোট,সাহাদত হোসেন চৌধুরী হাতি প্রতিকে ২ভোট,মোহাম্মদ আবদুল আজিজ চৌধুরী ২ভোট,খালেকুজ্জমান তালা প্রতিকে ১ভোট ও কল্যাণ বড়ুয়া ঘুড়ি প্রতিকে ০ভোট পেয়েছেন।

বোয়ালখালীঃ বোয়ালখালী উপজেলা চট্টগ্রাম-৮ ওয়ার্ডে সদস্য পদে বোরহান উদ্দিন এমরান হাতি প্রতীকে ৭৯ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ ইউনুছ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ভোট।চেয়ারম্যান পদে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ১১৬ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ৭ ভোট।

লোহাগাড়াঃ লোহাগাড়া উপজেলার ১৫নং ওয়ার্ডে ১২০ ভোটের মধ্যে ১১৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী।তিনি ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫ ভোট।তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার কামাল অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ ভোট।তার মধ্যে ১টি ভোট বাতিল হয়েছে।চেয়ারম্যান পদে এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম ১০৪ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত ১৫ ভোট পেয়েছেন।

চন্দনাইশঃ চন্দনাইশ ১১ নং ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু।চন্দনাইশে এবার ভোটার ছিল ১১৮ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১১৭ ভোটার। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবু আহমদ চৌধুরী জুনু হাতি প্রতীকে ৬৪ভোট,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ টিপু চৌধুরী তালা প্রতীকে ৫৩ ভোট পেয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১১৩ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ৪ ভোট।

আনোয়ারাঃ আনোয়ারা উপজেলায় ১৫৪ ভোটারের মধ্যে ১৫২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রদান করেন। এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৪৯ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ২ ভোট। সাধারণ সদস্য পদে এসএম আলমগীর চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।তাই এই পদে এ দিন ভোট হয়নি।

সীতাকুণ্ডঃ চট্টগ্রাম-২ সীতাকুণ্ড উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(আংশিক )থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আ ম ম দিলশাদ।তিনি অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শওকতুল আলম হাতি মার্কা পেয়েছেন ৬৬ ভোট।মোট ভোটার ছিলো ১৪৩ জন।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৪১ ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ০২ ভোট।

সন্দ্বীপঃ ৩ নং ওয়ার্ড সন্দ্বীপ থেকে চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৯২ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১০ ভোট।সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছিদ্দিকুর রহমান।তিনি পেয়েছেন ৮৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাহেদ সারওয়ার শামীম ৬৪ ও মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ ভোট।

রাউজানঃ রাউজান উপজেলায় ১৯৭ জন ভোটার নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।এতে চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৯১ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ৫ ভোট।এ উপজেলায় আগেই কাজী আবদুল ওহাব বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

হাটহাজারীঃ ৫ নং ওয়ার্ড হাটহাজারীতে সাধারণ সদস্য পদে অটোরিকশা প্রতীকে ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এইচ এম আবরাহা দুলাল।তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর আহমেদ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ ভোট।মোট ভোটার ছিলেন ১৯২ জন।এর মধ্যে ১৯১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ১৮৪ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ৭ ভোট।

পটিয়াঃ পটিয়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩৭ জন।এর মধ্যে সদস্য পদে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য দেবব্রত দাশ দেবু তালা ১২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ফরিদ অটোরিকশা পেয়েছেন ১০৭ ভোট।

কর্ণফুলীঃ কর্ণফুলীতে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ।মোট ৯২ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ঘুড়ি প্রতিকে ৮৬ ভোট।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতিকে পেয়েছেন ৪ ভোট।

সাতকানিয়াঃ ১৪ নং সাতকানিয়ায় চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ২১৯ ও নারায়ণ রক্ষিত ১২ ভোট পেয়েছেন।সাধারণ সদস্য পদে আবদুল আলীম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকে ১১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনির আহমদ তালা প্রতিকে ৯২ ভোট ও গোলাম ফেরদৌস হাতি প্রতিকে ২২ ভোট পেয়েছেন।

রাঙ্গুনিয়াঃ রাঙ্গুনিয়া থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কাশেম চিশতি।

ফটিকছড়িঃ ফটিকছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ২৫৯ ও নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ৩ ভোট।সদস্য পদে অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে আখতার উদ্দীন মাহমুদ পারভেজ ১৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হযেছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিটন চৌধুরী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ ভোট।

মীরসরাইঃ মীরসরাই উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্ধন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।গতকাল উপজেলায় ২৩৭ জন ভোটারের মধ্যে ২২৯ জন জনপ্রতিনিধি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।নির্বাচনে বাতিল হয়েছে ১ ভোট।নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ২১৮ ভোট পেয়ে মীরসরাইয়ে প্রথম হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১০ ভোট।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!