কিবরিয়া হত্যায় যারা সঠিক তদন্ত হতে প্রভাবিত করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবেঃ ড. রেজা কিবরিয়া।

0 ৭৮

লৌহজং উপজেলা প্রতিনিধিঃ শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি এ হত্যাকাণ্ডের আসল মদদদাতা কে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎস কি, এ দুটি প্রশ্নের উত্তর বের করতে। কিন্তু এ বিষয়ে তদন্তকারীদের আগ্রহ ছিল কম, ছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনটিতেই ছিল ভুল। এর একটির সঙ্গে আগেরটির কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি আরো বলেন আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে আমার বাবা কিবরিয়া সহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। যারা তদন্ত হতে দেয়নি এবং প্রভাবিত করেছে তাদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে।

গনঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নুর বলেন ‘যদি ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হতে পারে তাহলে শাহ এ এম এস কিবরিয়া সহ অনান্য হত্যারও বিচার করা হবে। এত বছরে কিবরিয়া সাহেবের হত্যার বিচার না হওয়া অত্যন্ত দু:খজনক।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মহাফুজুর রহমান, ডা: শাহ আজাদ, যুবঅধিকারের মনজুর মোরশেদ, তারেক রহমান ও শ্রমিক অধিকারের আব্দুর রহমান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, শেখ খায়রুল কবির, সোহরাব হোসেন সহ গণ, ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ জানুয়ারি। এই দীর্ঘ সময়েও হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়নি।

উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ–পরবর্তী আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন ৭০ জন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!