জয় দিয়েই শিরোপা উদযাপন করলো কিংস

0 ৩০০,১০৭

নিজেদের মাঠেই আজ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে বসুন্ধরা কিংস।দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয় করা কিংসরা লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচেও মাঠ ছেড়েছে জয় দিয়েই।শেখ জামালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়টা উৎসবের রঙে বাড়তি মাত্রা যোগ করলো।হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের হয়ে দুইটি গোল করেন মতিন মিয়া ও রবসন রবিনহো।জামালের হয়ে এক গোল শোধ দেন সোহান।

টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত থেকে শিরোপা জয় করলো অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।ম্যাচের শুরুতে বসুন্ধরা কিংসকে গার্ড অব অনার দিয়েছিল শেখ জামাল।পুরো ম্যাচই কিংসরা খেললো নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে।সূচি অনুযায়ী ২২তম রাউন্ডের এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল শেখ জামালের হোম ভেন্যু মুন্সিগঞ্জে।কিন্তু চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস তাদের শিরোপা উদযাপন নিজেদের মাঠে করতে চাওয়ার কারণে ম্যাচের ভেন্যু সরিয়ে কিংস অ্যারেনায় নিয়ে আসা হয়।

লিগের শেষ ম্যাচ বিশ্রামে ছিলেন দলের নিয়মিত গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।এই ম্যাচে ছিলেন না দলের দুই বিদেশি ডিফেন্ডার খালেদ শাফি ও মিডফিল্ডার মিগেল ফিগেইরা।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে মতিন মিয়ার গোলে এগিয়ে যায় কিংস।বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রবসন রবিনহো,নুহার সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে বক্সের বাম দিকে থাকা মতিনকে বাড়িয়ে দেন।নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।লিগে এটি তার চতুর্থ গোল। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল জামালের সামনে।ওতাবেকের ছোট করে নেওয়া ফ্রিকিক বক্সে পেয়ে যান বদলি নামা সোহানুর রহমান সোহান।কিন্তু তার দুর্বল শট হামিদের গ্লাভসে জমা পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে কিংস।প্রথম গোলের মতো এটিও হয় সাত মিনিটের মাথায়।আগের গোলে ছিলেন যোগানদাতা।এবার নিজেই গোল করেছেন রবসন।বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।উল্লাসে মেতে ওঠে কিংসের গ্যালারি।

৬৮তম মিনিটে শেখ জামাল আতিকুজ্জামানের গোলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে।ওই গোলে অবশ্য জামালের ফরোয়ার্ডের চেয়ে কিংসের গোলরক্ষকের ভুলই বেশি।দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক রিমন বলের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি।এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন প্রতিপক্ষের ফুটবলার।

ইনজুরি সময়ে হঠাৎ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।কিংসের মাহবুবুর রহমান সুফিল বল নিয়ে আক্রমণে যাচ্ছিলেন।এমন সময় স্লাইডিং ট্যাকেল করেন জামালের উজবেক ফুটবলার ওতাবেক।রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান ততক্ষণাৎ।এরপর দুই দলের ফুটবলাররা বিবাদে জড়ান।ফাউলের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ওতাবেক।বাজে ব্যবহারের জন্য লাল কার্ড দেখেন কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ।শেষ কয়েক মিনিট দুই দল দশ জন নিয়ে খেলেছে।

দশ জন নিয়ে খেলার বিষাদ মুহুর্তেই উবে গেছে রেফারির শেষ বাঁশিতে।কারণ বাংলাদেশের ফুটবল লিগের ইতিহাসে অভিষেকের পর কোনো দল হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।কিংস সেটি করে দেখিয়েছে।এবং সেই লিগের ট্রফি উদযাপন নিজেদের ভেন্যুতে হচ্ছে।বাংলাদেশের কোনো ক্লাবের নিজস্ব ভেন্যু করার রেকর্ডও কিংসের অধীনে।আজকের ম্যাচে কিংস অ্যারেনায় উৎসবের উপলক্ষ্য ছিল আগেই। সেই উৎসব আরো রঙিন হয়েছে এই জয়ে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!