ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ‘হ্যাজম্যাট টিম’ আসছে সীতাকুণ্ডে

0 ২০০,২০৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে কাজ করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ জনের বিশেষ হ্যাজম্যাট টিম চট্টগ্রামে আসছে।হ্যাজম্যাট (হ্যাজারডাস মেটারিয়াল)টিমে এসব সদস্য দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।সহকারী পরিচালক(প্রশিক্ষণ)মো. মনির হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ জনের ওই বিশেষজ্ঞ দল সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
উল্লেখ্য,চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী।শনিবার রাতের এ দুর্ঘটনায় চার শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন।সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন,আহতদের মধ্যে শ্রমিক,পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা রয়েছেন।এদের মধ্যে বেশিরভাগকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।অনেককে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রয়েছে।কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন লাগার পর কনটেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে।বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিন-চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।বেসরকারি হাসপাতালসহ সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন,ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে।এতসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই।এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ,স্যালাইন,পেইন কিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে।সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে।তবু চিকিৎসা দিয়ে পেরে উঠছি না আমরা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!