বাঁশখালীতে জেলেপাড়ায় আগুন,নিঃস্ব ৭০ পরিবার

0 ৫১০,৫৫৩

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এই ঘরগুলোতে প্রায় ৭০টি পরিবার বসবাস করতেন।মঙ্গলবার(৬ সেপ্টেম্বর)দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার সংলগ্ন জলদাশ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে,বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।তবে কেউ হতাহত হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ওই এলাকার জলদাশ পাড়ার মিলন জলদাশের বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।ঘনবসতি হওয়ায় মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ততক্ষণে ৩২টি বসতঘরের প্রায় ৭০টি পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন সমীরণ জলদাশ,তিনি একুশে পত্রিকাকে বলেন,সমুদ্রে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ পুড়ে গেছে।এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় আমরা কোনও জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারিনি।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর টিম লিডার নুরুল বাশার বলেন,খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই।দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে আমরা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।এ ঘটনায় জলদাশ পাড়ার ৩২টি বসতঘরের প্রায় ৭০ পরিবারের সবকিছু পুড়ে যায়।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে পরে জানানো হবে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)সাঈদুজ্জামান চৌধুরী,চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রমুখ।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন,খবর পেয়ে ভোরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।জেলেপাড়ার বসতঘরগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তালিকা তৈরির পরে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!