বান্দরবানের লামায় মাছের প্রজেক্টের জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১৭

0 ২৩৩

মোহাম্মদ আলমগীরঃ বান্দরবানের লামা উপজেলায় জমির বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে।শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং) দুপুর ১টায় উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব শিলেরতুয়া নয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।

লামা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ দিদারুল মেহের বলেন,৩ জনকে ডাক্তারকে সাথে নিয়ে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।আহত ১৭ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।অবস্থার উন্নতি না হলে আরো কয়েক জনকেও রেফার করা যেতে পারে।

দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে লামা হাসপাতালে উপস্থিত হন রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন,দীর্ঘদিন যাবৎ পূর্ব শিলেরতুয়ার সাবেক মেম্বার রমজান আলী ও জাফর আহমদ প্রকাশ মনার মাঝে জমি নিয়ে বিরোধ এবং মামলা-মোকাদ্দমা চলছে।

আজ দুপুরে জাফর আহমদ মনার লোকজন জমিতে সেচ দিতে মেশিন দিয়ে গোদা থেকে পানি আনতে গেলে রমজান আলী মেম্বারের পক্ষের লোকজন বাধা দেয়।সে সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়।পরে ঝগড়া শুনে দু’পক্ষের আরো লোকজন দা,ছুরি,কোদাল,রড, লাঠি নিয়ে এগিয়ে এলে প্রচন্ড সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং ১৭ জন আহত হয়।

সংঘর্ষে জাফর আহমদ মনার পক্ষের আহতরা হলো,কহিনুর বেগম (৪০),রোশন আরা বেগম ( ৪২), জাফর আহমদ মনা (৪৮),শামসুন নাহার (৩৫), জোৎস্না বেগম (৩৬),হোসনে আরা বেগম (৪৫), নাজমা আক্তার (১৬),বেলাল হোসেন (৩০),আবুল হোসেন (২৮)।আর রমজান আলী মেম্বারের পক্ষে আহতরা হলো,আমিরুল ইসলাম (২০),আব্দুল মন্নান (৪০),সাবেকুন নাহার (৪৫),রজ্জব আলী (৪৮),মোঃ লিটন (৪০),জিসান (১৪),মালেকা বেগম (৪৫) ও রহমত আলী (৩৫)।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর স্বাক্ষ্যমতে জানাযায় মাছের প্রজেক্টের জমির মূল মালিক রমজান আলী মেম্বার।জাফর আলমগং আর হোল্ডিং জমির দলিল জালিয়াত করে মাছের প্রজেক্ট দখল করেন।আরোও জানা যায় জাফর আলমগন জমির দলিল জালিয়াতি করে অপরের জায়গা দখল করার অভ্যাস আছে বলে এলাকাবাসী জানান।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত আমিরুল ইসলাম কহিনুর বেগম,রোশন আরা বেগম,আমিরুল ইসলাম,আব্দুল মন্নান,সাবেকুন নাহার,রজ্জব আলী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,ঘটনার পরপরই লামা থানা থেকে লামা হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লামা হাসপাতালে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ হানিফ সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয়। তিনি বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিতে সহায়তা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!