মাটির নিচে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ডিলার আজম র‍্যাব-৭,চট্টগ্রামের হাতে আটক।

0 ৪০০,৫৮৯

চট্টগ্রাম নগরীর ইয়াবার ডিলার আজম উদ্দিন চৌধুরীকে সহযোগী সহ আটক করেছে র‌্যাব।এসময় তার বাসার গুদাম ঘরের মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।রোববার(১৮ সেপ্টেম্বর)দুপুরে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ।

আটককৃতরা হলেন-কর্ণফুলী থানার শাহ মীরপুর এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে ইয়াবার ডিলার আজম উদ্দিন চৌধুরী(২৬) ও একই এলাকার আব্দুল নুরের ছেলে ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন (৩০)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান,গত ৪-৫ দিন যাবৎ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা টেকনাফ,উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ,বিয়ার,স্মাগলিং পণ্য-সিগারেটের বিশাল চালান জব্দ করা হয়।সেখান থেকে ইয়াবারও একটি বড় চালান আটক করা হয়।

সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরের মাদকের ডিলার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার(১৭ সেপ্টেম্বর)বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসতঘরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের মাদক সম্রাট আজম উদ্দিন চৌধুরী ও ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান,আটককৃতদের দেখানো মতে বসত ঘরের পাশে একটি গুদাম ঘরে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং পানির নিচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগের ভেতর লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

আটক আজম ৫-৬ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।প্রাথমিক অবস্থায় সে ইয়াবা সরবরাহের কাজ করতো।পরবর্তীতে ইয়াবার বড় চালান পেয়ে বসতঘরের টিনশেড বেষ্টিত একটি ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রেখেছিল।সে ইয়াবা এবং দেশিয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মাটি চাপা দিয়ে মজুদ করে রাখতো।পরবর্তীতে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবার চালান সরবরাহ করতো।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক জানান,উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার,প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ব্যবহার করতো। অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাঁশখালীর অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ ও ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বলে স্বীকার করেছে। আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাগর পথে মিয়ানমার থেকে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেছিল।

উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!