রাঙামাটিতে সদ্য স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রীর অন্যের সাথে বিয়ের এঙ্গেজমেন্ট।

0 ১৮৭,০৩৭

রাঙ্গামাটিতে ডিভোর্স না দিয়ে স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রী অন্য আরেকজন ব্যাক্তির সাথে এংগেজমেন্ট ও বিয়ের প্রস্তুতির অভিযোগ এনে রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার বাদী স্বপন চাকমা পিতা অরুন চাকমা বরকল উপজেলাধীন সুবলং ইউনিয়নের হাজাছড়া পাড়ার বাসীন্দা। মামলাটি দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০৭/১০৮/৪০৩/৪০৬/৪১৫/৪৯৪ ধারায় আমলে নেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাঙ্গামাটি।

এ বিষয়ে স্বপন চাকমা জানান,তার স্ত্রীর সাথে পারষ্পারিক প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো।সেই সুবাধে বিগত ২৮/০৯/২০২০ ইং তারিখে নোটারী পাবলিক হলফনামা নং ৫৫৬(৯)২০ ও৫৫৭(৯)২০ মুলে বিবাহ সম্পাদন হয়।হলফনামা নং বিবাহ সম্পাদন হওয়ার পর বিগত ২৮/০৯/২০২০ ইং তারিখে চাকমা সামাজিক রীতি অনুসারে বয়োবৃদ্ধ লোকদের থেকে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য আশীর্বাদ নেওয়ার নিমিত্তে স্বপন চাকমার স্ত্রীর বাড়িতে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিলো। বিয়ের পর তিনি তার স্ত্রীকে কানের দুল,স্বর্ণের চেইন এবং আংটিসহ দেড় লক্ষ টাকা মুল্যের স্বর্ণলংকার দিয়েছেন বলে দাবী করেন।এরপর তার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার কারণে তারা চট্টগ্রাম বহদ্দার হাট এলাকার মল্লিকা ভবনের বাসার মালিক জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে বাসা ভাড়া নেন।উক্ত বাসায় তারা একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন।আর সেই বাসা স্বপন চাকমার স্ত্রীর বাবা,মা ও ভাই নিয়মিত যাতায়াত করত বলে তিনি জানান।এছাড়া স্বপন চাকমা নিজেও তার রাঙামাটির ১০২ নং রাঙ্গাপানি মৌজার কল্যানপুর এলাকার বাসায় মেয়ের জামাতা হিসেবে নিয়মিত যাতায়াত করত।

তাদের সংসার অত্যান্ত সুখেই কাটছিল।স্ত্রীর সকল ভরণ পোষনের দায়িত্ব তিনি পালন করতেন।এছাড়াও তিনি তার স্ত্রীর নামে থাকা ট্রাষ্ট ব্যাংক রাঙামাটি শাখায় বিভিন্ন সময়ে লক্ষাধিক টাকা জমা প্রদান করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর স্বপন চাকমার স্ত্রী তার মা,বাবা ও ভাইয়ের কুপ্ররোচনায় তাকে কোন প্রকার না জানিয়ে একজন স্কুল শিক্ষকের সাথে বিগত ৪/০২/২০২২ তার স্ত্রীর কল্যানপুরস্থ পিত্রালয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।পরে স্বপন চাকমা বিষয়টা জানতে পারলে তার স্ত্রীর নাম্বার বন্ধ পাওয়াতে তার স্ত্রীর ভাইয়ের সাথে ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাকে কিছু না জানিয়ে ব্লক করে দেন।

তাই বাধ্য হয়ে তিনি উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষীতে ন্যায় বিচার পাবার জন্য আদালতে দারস্থ হয়ে এ্যাডভোকেট বিমল তঞ্চঙ্গ্যার মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলাটির সি আর নং ৩১/২০২২।

এবিষয়ে স্বপন চাকমার স্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,স্বপন চাকমা তাকে প্রতারনা করে বিয়ে করেছিলো।বিগত ডিসেম্বরে সে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন।তাই বর্তমানে আইনত তার ওপর স্বপন চাকমার কোন অধিকার থাকতে পারে না।তবুও স্বপন চাকমা তাকে ও তার পরিবারকে মামলা করে বিভীন্নভাবে হেনস্থা করতেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ডিভোর্স বিষয়ে স্বপন চাকমা বলেন,এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।আমার কাছে ডিভোর্সের কোন কপি পাঠানো হয় নাই।

উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ২ ও ৪ নং আসামীগণ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করিলে আদালত তাদের আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন দেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!