শাহ আমানত বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধনে সুজন।

0 ১৮৮

শাহ আমানত বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধনে সুজন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যারা উপেক্ষা করছে তাদের শক্তির উৎস জনগন জানতে চায়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা সত্বেও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করছে তাদের শক্তির উৎস জনগন জানতে চায়।

 

গতকাল বুধবার(১৭ নভেম্বর ২০২১ইং)সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশ মূখে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আরব আমিরাত সরকার বিমান উড্ডয়নের ৬ ঘন্টা আগে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করে। সেই আলোকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের বিমানবন্দরসমূহে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে।প্রবাসীরা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে অনেকদিন ধরে।দীর্ঘদিন ধরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন না হওয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের বিমানবন্দরসমূহে জরুরি ভিত্তিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

চট্টগ্রামের অধিকাংশ প্রবাসী আরব আমিরাতের বিভিন্ন দেশে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বসবাস করে।করোনা পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ প্রবাসী দেশে এসে বর্তমানে আটকা পড়ে রয়েছে।ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আরব আমিরাত গমন করতে হলে তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয়।সেখানে তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ট সহ্য করার মতো নয়।তাই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা চট্টগ্রামের প্রবাসীদের প্রধানতম দাবী। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করা প্রবাসীদের প্রতি চরম অবমাননার শামিল।যারা নিজের টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে প্রতিনিয়ত তাদের প্রতি এ রকম আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এসব চক্রান্তের পিছনে কারা তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।যারা ছলে বলে কৌশলে সরকার থেকে জনগনকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে এগুলো তারই অংশ।প্রবাসীদের রেমিটেন্স আয় দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।প্রবাসীদের এ আয়কে বাঁধাগ্রস্ত করতে সরকারের ভিতর লুকিয়ে থাকা চক্রান্তকারীরা সরকারের ভালো পদক্ষেপগুলো সফল হতে দিচ্ছে না।তা না হলে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে কতো টাকা এবং সময় প্রয়োজন সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।

তিনি আরো বলেন পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কালক্ষেপনের ফলে বাধ্য হয়েই প্রবাসীরা তৃতীয় দেশ হয়ে আরব আমিরাতে প্রবেশ করছে।এ সুযোগে তাদের থেকে অত্যধিক হারে বিমানের ভাড়া আদায় করছে বিদেশী উড়োজাহাজগুলো। করোনাকালীন বৈশ্বিক মহামারীতে এমনিতে এসব প্রবাসীদের আয় রোজগার প্রায়ই বন্ধ।এখন বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে সবকিছু উম্মুক্ত করে দিতে শুরু করেছে।

এ অবস্থায় বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের আশায় তারা দিন গুনছে কিন্তু তাদের সে দিন যেন ফুরাবার নয়।সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় অনেকের ভিসার মেয়াদ চলে গিয়েছে আবার অনেকের একমাত্র সম্বলের চাকরিটিও যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছে।এ অবস্থায় তারা যদি বিদেশ যেতে না পারে তাহলে দেশের রেমিটেন্স আয়ের উপর বিরাট প্রভাব পড়বে তাই আমরা সরকারের কাছে সবিনয় অনুরোধ জানাতে এসেছি যাতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনে আর কালক্ষেপন না হয়।তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে অনশন করবেন বলে ঘোষণা করেন।

নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন,আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ,আব্দুর রহমান মিয়া,রুহুল আমিন তপন,আমিরাত প্রবাসী নাছির আলম,ওয়াহিদুল আলম মাষ্টার,আলহাজ্ব আজম খান,মোরশেদ আলম,মো. সেলিম,হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন,আবুল কালাম,সমীর মহাজন লিটন, মাইনুল ইসলাম,মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু,পাভেল ইসলাম,সেলিম মাস্টার,আশরাফ খোকন,ছালেহ আহমদ,মো. কাইয়ুম,হাসান হাবিব সেতু,জাগির হোসেন প্রমূখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!