সন্দ্বীপে গভীর রাতে অবৈধ মাটি কাঁটায় এসিল্যান্ড মোঃ মঈন উদ্দিনের অভিযান।

0 ৬৮৮,২৪৫

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে অবৈধ মাটি কাঁটা চলে প্রতি রাতেই।প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে এই মাটি কাঁটার কাজ।সারারাত এইভাবেই চলে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি বিক্রির কাজ।

আজ রাত ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ মঈন উদ্দিন জানতে পারেন যে,রহমতপুর থেকে অবৈধ মাটি কাঁটা হচ্ছে।সাথে সাথে দ্রুত দুইজন আনসার সদস্য নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে অভিযানে গেলেন সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ মঈন উদ্দিন।মুছাপুর ১নং ওয়ার্ডে মিলালো চারটি মাটি ভর্তি ট্রাক।৩টি মাটি ভর্তি ট্রাক পালিয়ে গেলেও ১টি মাটি ভর্তি ট্রাক এবং ট্রাক ড্রাইভার লিটনকে আটক করেন তিনি।

ট্রাক ড্রাইভার লিটনের কাছে জানা যায় যে,রহমতপুর বেড়িবাঁধ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন রহমতপুর ৩নং ওয়ার্ডের পারভেজ এবং তিনি তারই মাটি কলেজের পাশে।রহমতপুর ৩নং ওয়ার্ডের আবুল খায়েরের ছেলে মোঃ পারভেজ।এই মাটি সিন্ডিকেটের সাথে অনেকেই জড়িত থাকার কথাও উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য যে,গত ২০শে নভেম্বর ২০২২ইং একইভাবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কাঁটার দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন,২০১০ এর ১৫ ধারায় ৫০,০০০/- অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ মঈন উদ্দিন।জরিমানা দিয়ে আবারও শুরু করেছেন সেই একইভাবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার কাজ।

এই বিষয়ে পারভেজের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গভীর রাতে,কনকনে শীতে অভিযান করে মাটি ভর্তি ট্রাক আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন,রাতদিন বিষয় না আমার কাছে,আমি তথ্য পেলে সব সময় মাঠে অভিযান করে থাকি।আজকে রাত ১২টায় জানতে পারি রহমতপুর বেড়িবাঁধ থেকে অবৈধভাবে মাটি কাঁটা হচ্ছে।আমি সাথে সাথে দু’জন আনসার সদস্য নিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে অভিযানে বেড়িয়ে যায়।রাস্তায় ৪টা মাটি ভর্তি ট্রাক পেলেও ৩টি মাটি ভর্তি ট্রাক পালিয়ে গেছে।১টি মাটি ভর্তি ট্রাক আটক করে রহমতপুর ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল কালামের ছেলে লিটন(২৮)কে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই ছাড়া অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি বিক্রির অপরাধে এর আগেও পারভেজকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার মাটি বিক্রির কাজ বন্ধ হয়নি।পারভেজের বিষয়ে আমরা ফৌজদারি মামলা দায়ের করবো।

মোটর সাইকেল নিয়ে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন,আমাদের উপর তাদের সব সময় নজর থাকে।সরকারি গাড়ি নিয়ে অভিযানে গেলে তারা জেনে যায় কারণ আমাদের পিছনে তাদের লোকজন থাকে আর তাই মোটর সাইকেল নিয়ে অভিযানে বের হয়েছি আজকে।আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!