সন্দ্বীপে ক্লু-লেস দূস্যতা মামলায় মূল ২ আসামী গ্রেফতার।

0 ৮৭৫,৪৮২

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ক্লু-লেস দূস্যতা মামলার মূল দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আলামত সমূহ উদ্ধার করা হয়েছে।আসামীরা সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

গত ২৭ অগাস্ট রাত আনুমানিক চারটায় সন্দ্বীপ থানাধীন মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মিনা গো বাড়ীর আসাদুল সাহেবের বসতগৃহে একটি নৃশংস দূস্যতার ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় গৃহবধু অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা আক্তার মুন্নি(২৬)গুরুতর আহত হন।

দুষ্কৃতিকারীরা ফারজানা আক্তার মুন্নি মুখমন্ডল,মাথা ও হাতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।রাতটা ছিল বৃষ্টি মূখর।সাগর ছিল উত্তাল।বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভিকটিমের সুচিকিৎসার ব্যবস্থাসহ চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ মা ও শিশু হাসপাতালে ছুটে যাই।কর্তব্যরত ডাক্তারদের আন্তরিকতা ও অনেকের দোয়ায় মৃত্যু’র হাত হতে বেঁচে ফিরেন ভিকটিম।

পৈশাচিক এ ঘটনায় মামলা রুজু করতে পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম এস এম শফিউল্লাহ্,বিপিএম,মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় টিম সন্দ্বীপ অপরাধীদের শনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন।

সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে নিবিড় তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির বিচার বিশ্লেষণে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা হয়।উদঘাটিত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুইজন আসামী মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে হালিম এবং মৃত রিদোয়ানের ছেলে রিয়াদকে আটক করা হয়।উভয়ই মুছাপুর ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।এছাড়া তাদের হেফাজতে থাকা লুন্ঠিত দুইটি মোবাইল ফোন ও তাদের দেখানো মতে তাদের বসত ঘড়ের মেঝেতে মাটির নিচ থেকে লুকিয়ে রাখা ঘটনায় ব্যবহৃত ছুড়ি ও কাচি উদ্ধার করা হয়।

আসামীদ্বরা ঘটনার দায় স্বীকার করে সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম সোহাগ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!