সন্দ্বীপে দ্বীপবন্ধু স্মৃতি সংসদ কেন্জাতলীর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন

0 ২০৬

বাদল রায় স্বাধীনঃ ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রয়াত সাংসদ দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন দ্বীপবন্ধু স্মৃতি সংসদ কেন্জাতলীর উদ্যোগে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে যথাযথ মর্যদা ও ভাবগাম্ভীযতার মধ্য দিয়ে।আজ ১৬ আগষ্ট রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্দ্বীপ থেকে বারবার নির্বাচিত সাংসদ ও দ্বীপবন্ধুর উত্তরসূরী মাহফুজুর রহমান মিতা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক মাঈন উদ্দীন মিশন ও সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামীলিগ সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোক্তাদের মাওলা সেলিম।সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বীপবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শওকত।অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এবি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ফরিদুল মাওলা কিশোর।

সভায় বঙ্গবন্ধুর বর্নাঢ্য কর্মময় জীবন ও জাতীয় শোক দিবসের গুরুত্ব ব্যখ্যা করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন,পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আকবর হোসেন,এবি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাহেদুর রহমান ফাহাদ,আওয়ামীলিগ নেতা মধুসুদন ব্যনার্জী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কময়,বেদনার দিন।স্বাধীনতার স্থপতি,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ছিলো ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালের এ দিনে কাকডাকা ভোরে বিপদগামী কিছু সেনা সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বাঙালির জাতির ললাটে এঁটে দেয় কলঙ্কের তিলক। যে কলঙ্ক থেকে দেশ-জাতি আজো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি।কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে।এখনো দন্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে।এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি,তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব,বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল,শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের,ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত,তার ছেলে আরিফ,মেয়ে বেবি ও সুকান্ত,বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি,তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

যে কাজটি বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীও করার সাহস করেনি,সেটিই করল এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো হয় এ নৃশংস ঘটনা।পরিসমাপ্তি ঘটে একটি ইতিহাসের। সে থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশ-বাতাস ও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা,যা কোনোদিন হয়নি,হবেও না। পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম,তার কর্ম এবং একটি লাল সবুজের পতাকা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!