সন্দ্বীপে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা কবি বেলাল মোহাম্মদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত।

0 ৮৭৫,৪৭৭

সন্দ্বীপের কৃর্তি সন্তান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা,শব্দ সৈনিক,স্বাধীনতা পদক ২০১০ এ ভূষিত কবি বেলাল মোহাম্মদ এর ১০ম মৃত্যু বার্ষিকীতে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩১ জুলাই সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উদ্যেগে ও সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ পত্রিকার সৌজন্যে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন তিনি ছিলেন দেশের প্রথম সারির গর্বিত সন্তান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন ১৯৭১ সালে আর স্বাধীনতা পদক পেলেন ২০১০ সালে। ৩৯ বছর পর তাকে মুল্যায়ন করা থেকে অনুমেয় হয় এই সমাজে বেলাল মোহাম্মদের মত গুনীজনরাও কত বেশি উপেক্ষিত। ২০১০ সালে সন্দ্বীপে তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় তিনি বলেছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এ প্রজম্মকে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে, সময় এসেছে অর্থনেতিক মুক্তি অর্জনে আরেকটা যুদ্ধ করার।

এনাম নাহার মোড় সংলগ্ন হোটেল তাজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ইলিয়াছ সুমন।স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাস্টার মোঃ শহিদুল্ল্যাহ, সাপ্তাহিক আলোকিত সন্দ্বীপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, সন্দ্বীপ শিল্প কলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল কাশেম শিল্পী, সন্দ্বীপ সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক কবি কাজী শামসুল আহসান খোকন, আজিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু পদ রায়, কবি ও প্রাবন্ধিক নীলাঞ্জন বিদ্যুৎ, সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কামাল বাবু, কবি মোস্তফা হায়দার,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার সভাপতি বাদল রায় স্বাধীন,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আকতার, মাইটভাংগা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক চারু মিল্লাত, কাউছার মাহামুদ দিদার,ও জামাল আবদুল নাছির শাহী, সদস্য মাহমুদুর রহমান, আবদুল হামিদ,বিশিষ্ট সংগঠক কার্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ।সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব পুস্পেন্দু মজুমদার।
উল্লেখ্য যে বক্তারা আরো বলেন কবি বেলাল মোহাম্মদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৭৩ টি।তার বেঁচে থাকা অবস্থায় আমরা দেশের প্রকৃত স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রের ইতিহাস জানতে পেরেছি বলে একটি বিতর্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। অথচ বর্তমান রাজনৈতিক লিডাররা তার কারনে লাভবান হলেও তারা এই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে কখনো কোন স্মরন সভা বা তার জন্মবার্ষিকী কিছুই উদযাপন করেনি।যা আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য কলংকিত অধ্যায়।২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তিনি ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন।মৃত্যু পরবর্তী তার দেহ গবেষনার জন্য আগেই বিনা শর্তে দান করে গেছেন পিজি হাসপাতালে, এবং তার পুরস্কারের কোন টাকা তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেনি কখনো।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!