সন্দ্বীপ থেকে এসে শনিবার রাতে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান।

0 ৪৫৪,২৭৭

সন্দ্বীপ থেকে এসে শনিবার রাতে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান।প্রায় ১০ বছর পর চট্টগ্রামে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাই নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই।গত দুই সপ্তাহ প্রচার শেষে এবার রাত জেগে জনসভায় যোগ দিতে প্রস্ততি নিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।

শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।বিশেষত চট্টগ্রামের উপজেলা থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসে পৌঁছেছেন।তাদের মধ্যে বিভিন্ন হোটেল মোটেলেও উঠেছেন অনেকেই।অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়।

মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী দিদারুল আলম বলেন,সকালে সড়কে যানজট থাকতে পারে।তাই শনিবার দুপুরেই চট্টগ্রামে চলে এসেছি।এনায়েত বাজার এলাকায় খালার বাসায় উঠেছি।সাথে বন্ধুরাও আছে। ভোরে পলোগ্রাউন্ডে চলে যাবো।

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাড়া-ক্লাব,মহল্লা,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অফিসগুলোতে দেখা গেছে চাঞ্চল্য।মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যানার,ফেস্টুন,প্লে-কার্ড,ফিতা,ফুলের তোড়ন নিয়ে পায়চারি করতে দেখা গেছে কর্মীদের।

জনসভায় যোগ দিতে এক দিন আগেই সন্দ্বীপ থেকে যুবলীগের ১০ হাজার নেতাকর্মী চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা ও মাইটভাঙা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে প্রায় ২৫টি ট্রলারে আজ শনিবার বিকেলে নগরে এসে পৌঁছান তারা।

জানা গেছে,প্রথমে তারা নৌকায় করে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসে নামেন।সেখান থেকে বাস যোগে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে জড়ো হন।এরপর প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে একটি মিছিল বের করেন তারা।মিছিলটি নগরীর কাজির দেউড়ি,চেরাগী পাহাড়,নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদিক্ষণ করে ঈদগাঁও গিয়ে শেষ হয়।সেখানে দুটি কনভেনশন সেন্টারে সবাই রাতে অবস্থান করবেন।এ ছাড়া হাটহাজারী,রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাসযোগে নেতা কর্মীরা চট্টগ্রামে রাতেই প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে দেখা গেছে,চট্টগ্রামের রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সাজানো হচ্ছে বেলুন,ফেস্টুন।যেখানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

যদিও শনিবার থেকে পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো জনসভাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা।জনসভাস্থলের আশপাশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রাত থেকেই যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!