গ্রাম বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে হারিকেন আর কেরশিনে চলা লনঠন।

0 ৬৮৮,১২৮

গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া।এখন আর সন্ধ্যার পর এক জনের পড়া শুনে আরেকজন পাল্লা দিয়ে বই পড়ে না।কোন মা-বাবা তার সন্তানকেও বলে না যে অমুক পড়তেছে তুই বসে আছিস,অথচ ৫ থেকে ১০ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন স্বর ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত।পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই।কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হত।সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো।যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই।এ চর্চাটার জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিল।বোর্ড পরীক্ষার আগে আল-ফাতাহ,পাঞ্জেরী,শিওর সাকসেস,টপ ব্রিলিয়ান্ট সাজেশন্সেরও খুব কদর ছিল।আগের বছর পাশ করা ভাই বোনদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলতো।মাত্র ৫ থেকে ১০ বছরের ব্যবধানে সবই প্রায় বিলীন হয়ে গেল।সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে।কোথাও কোন পড়ার শব্দ নেই।গ্রুপ চ্যাটিং,অনলাইন/অফলাইন গেমস,পাবব্জি, ফ্রী-ফায়ার, টিকটক,চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা,শিক্ষা গুরুর সাথে বেয়াদবী, শিক্ষককের নামে মিথ্যাচার করা,নিয়ম ভাঙ্গা,বেয়াদবী এগুলোই এখন তাদের পছন্দের তালিকা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!