আজ বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক,মহানায়ক মান্নার ১৪তম মৃত্যু বার্ষিকী।

মৃত্যুর ১৩ বছর পরেও সমানতালে জনপ্রিয় মহানায়ক মান্না।

0 ১০৮,৪৮২

২০০৮ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মারা যান মহানায়ক মান্না।২৪ বছরের চলচ্চিত্র জীবনে তিনি ৪০০ এর বেশি ছবিতে অভিনয় করে গেছেন।

সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার(মঞ্চ নাম মান্না নামেই অধিক পরিচিত,জন্ম: ১৪ এপ্রিল ১৯৬৪ – মৃত্যু: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)ছিলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক।ম্যানলি হিরো খ্যাত সুপারস্টার মান্না চব্বিশ বছরের কর্মজীবনে চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।তাকে ঢালিউড সোনালী প্রজন্মের সর্বশেষ মহানায়ক,মেগাস্টার বলা হয়।

ঢালিউড সিনেমায় দীর্ঘ সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখা নায়ক রাজ-রাজ্জাকের পর ঢালিউড যুবরাজ মান্নার অবস্থান।তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।তিনি বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি আটবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং তিনবার এই পুরস্কার অর্জন করেন।এছাড়া তিনি বেশ কয়েকবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল ত্রাস,দাঙ্গা,কাসেম মালার প্রেম, লুটতরাজ,তেজী,আম্মাজান,শান্ত কেন মাস্তান,কষ্ট, বর্তমান,আব্বাজান,স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ,বীর সৈনিক,সিটি টেরর,মিনিস্টার,দুই বধু এক স্বামী,পিতা মাতার আমানত,অবুঝ শিশু,সাজঘর,উত্তরের খেপ,মায়ের মর্যাদা ও কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এর অভ্যান্তরের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ভিডিও এডিটিং, কালার গ্রেডিং এবং ডাবিং স্টুডিওকে তার নামে মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে।

বাংলা চলচ্চিত্রের ভিন্ন ধরা তৈরির অন্যতম কান্ডারী মহানায়ক মান্না বেঁচে আছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে।সৈয়দ আসলাম তালুকদার চলচ্চিত্রে পরিচিত মহানায়ক মান্না হিসাবেই।সাধারণ চরিত্রে,সাবলীল অভিনয় দিয়ে তিনি হয়ে উঠেন এক এবং অভিন্ন।

১৯৮৫সালে পাগলী ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা তওবা।একে একে চার শতর উপরে ছবিতে অভিনয় করেন মহানায়ক মান্না।

২০০৩ সালে বীর সৈনিক ছবির জন্য পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার।মহানায়ক মান্না শুধু অভিনেতায় ছিলেন না,তিনি ছিলেন প্রযোজক ও,আর তাই গড়ে তুলেছিলেন কৃতাঞ্জলি নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।কৃতাঞ্জলির ব্যানারে ৮ ছবি মুক্তি পায়।

মহানায়ক মান্নার অকাল মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে নেমে এসেছিলো শোকের ছায়া।এখনো সমান তালে জনপ্রিয় মহানায়ক মান্না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!