শুধু একবার ভোট বিপ্লব ঘটান,আমি উন্নয়ন ও শান্তির বিপ্লব ঘটাবো-আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর।

0 ১২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে নিয়ে চায়ের কাপে উঠছে ভোটের ঝড়। চলছে মতবিনিময় কিংবা গণসংযোগ। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই লুকিয়ে কিংবা প্রকাশ্যে চলছে নানান প্রচারণা। প্রতিটি এলাকার সর্বত্র একটাই আলোচনা! কে হচ্ছেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুটাখালীর চেয়ারম্যান।

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর।তার মার্কা আনারস।তিনি খুটাখালী ইউপির পুর্বপাড়ার গ্রামের কৃতি সন্তান।একান্ত আলাপচারিতায় আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর এবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখে সমাজে ভাল কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি অবহেলিত,বঞ্চিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে তাঁর কর্ম প্রচেষ্ঠায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।প্রার্থীতা সম্পর্কে তিনি ইউনিয়নের কান্ডারী হতে চান উল্লেখ করে বলেন,খুটাখালী ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগীতা চাই।কেননা নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন,আমি অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,তাই আগামী নির্বাচনে আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হলে আমি নির্বাচনী ইশতেহার দ্রুত বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ্।আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর আরও বলেন,খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করতে শিক্ষা-ঐক্য,শান্তি-প্রগতি মডেল ইউনিয়ন গড়ার মূলনীতিতে আমি বিশ্বাসী।

জনগণের সেবা ও আধুনিক ইউনিয়ন গঠন করার জন্য অর্থ আধিপত্য কিংবা পেশি শক্তি দিয়ে নয়, শিক্ষা সংস্কৃতির মাধ্যমে উন্নয়নশীল মনমানসিকতা নিয়ে আমি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ।তিনি বলেন, খুটাখালীকে একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষে সততা এবং ভালবাসা দিয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই। আমি আপনাদেরই এলাকার সন্তান। আল্লাহর উপর ভরসা করে, আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সহযোগীতা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পথ চলা শুরু করলাম।

ইউনিয়নের গরিব দুঃখীসহ অধিকার বঞ্চিতদের পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতিমধ্যে আমি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছি।অনেক সমস্যায় জর্জরিত খুটাখালী ইউনিয়ন,যেমন-রাস্তাঘাট,ব্রীজ কালভার্ট,গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ ইত্যাদি।বর্তমানে বা অতীতে কেউই এলাকার কি চাহিদা তা সনাক্ত না করে শুধু আশ্বাস দিয়ে এলাকার মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চেয়ার নিয়ে বসে থেকেছেন।

আমি কথা দিচ্ছি সরকারের দেওয়া প্রতিটা অনুদান এবং প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এলাকায় আমূল পরিবর্তন করা হবে।সৎ ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব শুধু একবার ভোট বিপ্লব ঘটান, আমি উন্নয়ন এবং শান্তির বিপ্লব ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এসএম মনজুর আরো বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের কাছে জনগণের তেমন বেশি কিছু প্রত্যাশা নেই।জন্মনিবন্ধন কার্ডসহ অনেক ছোটখাটো কাজের জন্যও তারা হয়রানির শিকার হন।দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

যদি নির্বাচিত হতে পারি প্রথমত আমি এটার পরিবর্তন করবো।ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের।তারা যেন সেখানে এসে সম্মান পান।এ ছাড়া ব্রিজ, কালভার্ট,সড়কসহ উন্নয়ন কার্যক্রমেও নজর থাকবে আমার।আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধি আলাদা বিষয়।জনপ্রতিনিধি সবার।আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করবো।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা তা আমি জানি না।তবে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনারা টাকা বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রভাবিত হবেন না। সৎ এবং যোগ্য মানুষকে নির্বাচিত করুন।তাহলে আপনারা সম্মানিত হবেন।তিনি বলেন,নির্বাচিত হলে শতভাগ শিক্ষার ব্যবস্থা করবো।বেকারত্ব দূর করবো।জনগণের পাশে থেকে জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য যা যা করার করতে পারবো তবে ভোটারদের দুর্লভ আশা দিতে আমি রাজি নই।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!