সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু

0 ১১৪

মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ছয়দিন পর মৃত্যু বরণ করেছেন সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ৬ বারের জনপ্রিয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম(৬৫)মারা গেছেন।মঙ্গলবার(০১ ফেব্রুয়ারি)রাত ৩টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের(চমেক)আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলালকে ১ নং আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের নামে মিরসরাই থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলায় অভিযুক্ত বেলালের ছেলে ফাহাদ,নজরুল ও সিরাজুল ইসলাম নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য,গত বুধবার(২৬ জানুয়ারি)উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার খালের কাদা মাটি থেকে আবুল কাশেমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টায় ছুরিকাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(চমেক)ভর্তি করানো হয়েছে।হাসাপাতালে ৩বার অপারেশন করেও শারীরিক কোন উন্নতি হয়নি।রবিবার থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।আজ রাত ৩টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,বুধবার বিকেলে মায়ানী ইউনিয়নে অবস্থিত আনন্দ বাজার যান সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ৬ বারের সদস্য আবুল কাশেম।সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়।ফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না।পরে খুঁজতে খুঁজতে রাত ১০টার নাগাদ স্থানীয় মঘাদিয়া খালের পাশে কাদার মধ্যে ছুরিকাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।এরপর প্রথমে মিরসরাই উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।

আহত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের ছেলে বদরুদৌজা তারেক জানান,হাসপাতালে দীর্ঘদিন আমার বাবাকে নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করেছি।শুধু যেন বাবা বেঁচে থাকেন।হামলার পর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাবার মুখ থেকে কোন কথা শুনতে পাইনি।আমার বাবা সারাটা জীবন মানুষের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।শেষ বয়সে সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে চিরতরে শেষ করে দিয়েছে।আমি খুনী বেলাল সহ জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী করছি।

আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী আবুল কাশেমের সাথে স্থানীয় শাহেরখালী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।এর আগে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে।এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে।আমাদের ধারণা এ ঘটনা বেলালের নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন,কাশেম সাহেব গত নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষও ছিলেন না।তার সাথে কোনকালে আমার কোন বিরোধ ছিলো না।হয়তো বা আমার কোন বিরোধীপক্ষ কাশেম সাহেবের পরিবারকে ভুল বুঝাচ্ছে।

মিরসরাই থানার ওসি(তদন্ত)মো. অলি উল্ল্যাহ বলেন,হামলার ঘটনায় সোমবার মিরসরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে।আবুল কাশেম মারা যাওয়ায় তা এখন হত্যা মামলা হবে।ইতিমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!