হ্যাটট্রিক করলেন ওবায়দুল কাদের।

0 ৬৮৮,০১০

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে টানা তৃতীয়বারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।গতকাল শনিবার(২৪ ডিসেম্বর)বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলররা তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের প্রথমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন ২০১৬ সালে দলের ২০তম সম্মেলনে।সড়ক পবিরহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নেতা নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য।এর আগে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ওবায়দুল কাদের।

২০১৬ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের।ওই বছর ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের নবম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।এরপর ২০১৯ সালে ২১তম সম্মেলনে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

মাঝে বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকলেও বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ ওবায়দুল কাদের।ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।দুই পদই সমানতালে সামাল দিচ্ছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ গঠনের পর ১৯৪৯ সালে দলের প্রথম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক।এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ।১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এরপর দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক।১৯৮৭ সালে সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী,ছিলেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত।এরপর জিল্লুর রহমান আবারও দুই মেয়াদে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০০২ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল জলিল,ছিলেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত।ওই বছর দলের ১৮তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত।২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে দলের নবম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান ওবায়দুল কাদের।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত দলটিকে প্রাথমিকভাবে ঢাকার ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।পরে দলটিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ধর্মনিরপেক্ষ করার জন্য ১৯৫৫ সালে তৃতীয় কাউন্সিলের সময় ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে শেখ হাসিনা দশমবার দলটির সভাপতির দায়িত্ব পেলেন।মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চারবার এবং আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ তিনবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!