কুষ্টিয়ার স্কুল ছাত্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ঘটনায় দুর্র্ধষ বিএসবি কিশোর গ্যাং লিডার সংগ্রামকে তার দুই সহযোগীসহ চট্রগ্রাম থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৭

0 ২০০,২০৬
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী,ডাকাত,ধর্ষক,দুর্ধষ চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী,খুনি, ছিনতাইকারী,অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৩ জুন ২০২২ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় কুষ্টিয়া জেলার কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আবির হোসেন(১৪)কে বিএসবি কিশোর গ্যাং লিডার সংগ্রাম ও তার দলের অন্যান্য সদস্যরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে স্কুলের শিক্ষকদের সামনে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।এসময় শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা চড়াও হয়।এছাড়া উক্ত গ্যাং এর সদস্যরা স্কুলের দুটি ভবনের অনেকগুলো জানালা ভেঙে দেয়।পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকরা ভিকটিম আবির হোসেনকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।বর্তমানে আবির কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকটিম আবির হোসেন এর পিতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ০৪ জন নামীয় এবং ৩০/৩৫ জন’কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ৩৬ তারিখ ১৬ জুন ২০২২, ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
ঘটনার পর হতে কিশোর গ্যাং লিডার সংগ্রাম এবং তার দলের সদস্যরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে জানতে পারে যে, উল্লেখিত কিশোর গ্যাং লিডার সংগ্রাম এবং তার দলের কয়েকজন সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানার ষ্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জুন ২০২২ইং র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোহাম্মদ সংগ্রাম হোসেন সাইফ(১৯),পিতা- হারুনুর রশিদ,সাং- পূর্ব মজমপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুষ্টিয়া, ২। মুহাম্মদ নাফিস ফুয়াদ(১৯), পিতা- আব্দুস সবরু বিশ্বাস, সাং- বেলগাছি, থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়া এবং ৩। তামিম শাহরিয়ার(২২), পিতা- শফিকুল ইসলাম, সাং- বানিয়াপাড়া, থানা- কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা স¦ীকার করে যে, তারা কুখ্যাত বিএসবি কিশোর গ্যাং এর সদস্য এবং উক্ত ঘটনার এজাহার নামীয় আসামী।
ঘটনার পতিপৃষ্টে জানা যায়,কয়েকদিন আগে পুলিশ লাইনস স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে কলকাকলী বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।পুলিশ লাইনস স্কুলের সেই শিক্ষার্থীর কয়েকজন বন্ধু জিলা স্কুলে পড়ে।সেই ঘটনার জেরে তিন দিন আগে কলকাকলী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রদীপকে মারধর করে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।এরপর কিশোর গ্যাং লিডার সংগ্রাম তার দলের সদস্যদের নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে কলকাকলী বিদ্যালয়ে হামলা চালায় এবং ভিকটিম আবির হোসেনকে গুরুতর আহত করে।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!