গুলি করাই লিয়াকতের পেশাপটিয়া গ্রামের বাড়িতে মায়ের কান্না,এলাকায়জনমনে ক্ষোব

0 ১৮৮

সেলিম চৌধুরীঃ মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ খাঁন হত্যা মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ছিলেন পুলিশের সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমের সদস্য। এই টিমে যোগদানের পর থেকে গুলি করা তার পেশায় পরিণত হয়।

মানুষের গায়ে গুলি করতে সে দ্বিধাবোধ করত না।সে বেশ কয়েকটি জঙ্গি অভিযানে অংশগ্রহণ করে অনেক জঙ্গি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে।টেকনাফ থানায় যোগদানের পর ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে মাদক কারবারি নির্মূল অভিযানে ১৬১টি বন্দুকযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন লিয়াকত আলী। সেখানে ছোট ইয়াবা কারবারিসহ কতিপয় নিরীহ মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলি চালাতেন লিয়াকত আলী।

গতকাল এ প্রতিবেদক সরেজমিনে পটিয়া উপজেলার পূর্ব হুলাইন গ্রামে লিয়াকত আলীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন।জানা গেছে,হুলাইন গ্রামের মৃত সাহেব মিয়ার ৬ পুত্রের মধ্যে লিয়াকত আলী সর্বকনিষ্ঠ। ২০১০ সালে সে পুলিশের এসআই পদে চাকরি পায়। প্রথমে ডিবি, পরে সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমে নিয়োগ পায়। গত ২ বছর পূর্বে পুলিশ পরিদর্শক পদোন্নতি পাওয়ার পর এক বছর আগে সে টেকনাফ থানায় যোগদান করেন। তার ২ ভাই নেভীতে চাকরি করেন। তার ভাই আবু তাহের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও মনচুর আলী নেভাল প্রকোষ্ট অফিসার পদে দায়িত্বে আছেন।

এলাকার লোকজন তাদের পরিবারকে শিক্ষিত পরিবার হিসেবে জানত।কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে লোকজনের মধ্যে তাদের পরিবার নিয়ে ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে।এলাকার মানুষ মনে করছেন লিয়াকত মানুষ হত্যা করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।সর্বত্র লিয়াকতকে নিয়ে সমলোচনার ঝড় উঠেছে।এ প্রতিবেদককে দেখে লিয়াকতের মা কেঁদে কেঁদে বলেন,আমার ছেলের কি ফাঁসি হবে?লিয়াকত গ্রেফতারের পর থেকে তার মা একেবারে ভেঙে পড়েছেন। তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান,লিয়াকত খুব শান্ত,শিষ্ট,ভদ্র ছিল।এ ঘটনাটি সর্ম্পকে তারা কিছু বুঝতে পারছে না বলে জানান।তবে এলাকার লোকজন জানান,পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত বর্তমানে শত শত কোটি টাকার ও  নামে বেনামে  অনেক সম্পক্তির  মালিক।তার গাডি বাডি এত টাকার মালিক বনে যাওয়া এ আয়ের উৎস কিভাবে এসেছে তা খুজে বের করার জন্য সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ খুনি লিয়াকতের ফাঁসি নিশ্চিত সরকারের প্রতি  দাবি জানান তার এলাকার লোকজন।পটিয়া রিভিউ হিউম্যান রাইট সংস্থার সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী বিষয়টি সরকার প্রধান মনিটরিং করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। এদিকে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত এর গ্রামের বাড়িতে সাধারণ মানুষের মনে ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন পএিকায় ও অনলাইন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর লিয়াকত এর পরিবারকে ঘৃনার চোখে দেখছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!